বাংলাদেশ থেকে নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি : নেত্রকোনার পূর্বধলায় বিজিবি সদস্যের স্ত্রী লিপি আক্তারকে (৩৫) নিজের ঘরে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে চাচাতো দেবরের বিরুদ্ধে। পরে দেবর নিজের গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দেবরকে গ্রেপ্তার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে চিকিৎসা করাচ্ছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পূর্বধলা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান। ঘটনায় কাল সোমবার (০৫ অক্টোবর) বিকেলে পূর্বধলা থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। নিহত লিপি আক্তারের বড় বোন ফেরদৌসি বেগম বাদী হয়ে রাসেলকে প্রধান আসামি করে করে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলার বরাত দিয়ে ওসি তাওহীদুর রহমান জানান, ‘বিজিবি সদস্যের স্ত্রীকে রাসেল প্রায়ই উত্যক্ত করতেন। এতে সে সাড়া না দেওয়ায় পরিকল্পিতভাবে রাসেলই এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। তবে এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা নিয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। প্রসঙ্গত, গত রোববার (০৪ অক্টোবর) ভোর রাতে লিপি আক্তার নামের ওই গৃহবধূকে পূর্বধলা পশ্চিম পাড়া গ্রামে বিজিবি সদ্যস্য আজিজুল ইসলামের নিজ ঘরে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ সময় ওই ঘরে গলা কাটা অবস্থায় লিপির চাচাত দেবর রাসেল মিয়াকে পাওয়া যায়। বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এ সময় বিজিবি সদস্য তার কর্মস্থল পঞ্চগড়ে অবস্থান করছিলেন। আলিফ নামের তাদের ১২ বছরের এক ছেলেকে নিয়ে লিপি বাড়িতেই থাকতেন।
পূর্বধলায় গৃহবধুকে গলা কেটে হত্যার দায়ে দেবরের বিরুদ্ধে
0
Share.