ট্রাম্পের করোনা চিকিৎসা সম্পন্ন, গণসংযোগে ফিরতে পারবেন

0

ডেস্ক রিপোর্ট: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নভেল করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯-এর চিকিৎসা সম্পন্ন হয়েছে। করোনার কারণে সংগনিরোধে থাকার সময়কাল পূর্ণ করায় চলতি সপ্তাহান্ত থেকে জনসমক্ষে অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত চিকিৎসকের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।মার্কিন প্রেসিডেন্টের চিকিৎসক শন কনলি বলেছেন, ট্রাম্পকে দেওয়া ওষুধ-পথ্য ‘দারুণ কাজ করেছে’ এবং তাঁর শারীরিক অবস্থা এখন ‘স্থিতিশীল রয়েছে’।হোয়াইট হাউস থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার দেওয়া এক বিবৃতিতে ড. কনলি বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে ‘অসুখ বাড়ার’ কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।বিবৃতিতে ড. কনলি আরো বলেন, ‘(গত) বৃহস্পতিবারের পর থেকে (আগামীকাল) শনিবার ১০ দিন পূর্ণ হবে। ট্রাম্পের চিকিৎসায় নিয়োজিত দল যে উচ্চমানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে, তার ফলের ভিত্তিতে আমি সম্পূর্ণ আশাবাদী যে প্রেসিডেন্ট (আগামীকাল) শনিবার থেকে সংগনিরোধ থেকে বাইরে বেরোতে পারবেন।’এর আগে ড. কনলি বলেছিলেন, চলতি সপ্তাহান্ত থেকে আগামী সোমবারের মধ্যে যদি ট্রাম্পের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকে বা ভালোর দিকে যায়, তাহলে ‘আমরা পুরোপুরি স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারব’।এদিকে, মার্কিন নির্বাচন সামনে রেখে ১৫ অক্টোবর দ্বিতীয় প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্ক ঘিরে নতুন করে সংকট তৈরি হয়েছে। বিতর্কের আয়োজক কমিশন গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় বিতর্কটি সরাসরি নয়, ভার্চুয়ালি আয়োজন করা হবে। কিন্তু ট্রাম্প এতে রাজি নন।কমিশনের সিদ্ধান্তের জবাবে ট্রাম্প বলেছেন, ‘ভার্চুয়াল বিতর্কে অংশ নিয়ে সময় নষ্ট করতে যাচ্ছি না।’আগামী ২২ অক্টোবর আরেকটি প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট আয়োজনের কথা রয়েছে। তবে ওই বিতর্ক কোন পদ্ধতিতে আয়োজন করা হবে, তা-ই এখন দেখার বিষয়।এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেনের মধ্যকার ওই বিতর্ক পরস্পরকে অপমানসূচক বক্তব্য ও কথাকাটাকাটির মধ্য দিয়ে শেষ হয়। এরপর গত বুধবার অনুষ্ঠিত হয় রিপাবলিকান দলীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মাইক পেন্স ও ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসের মধ্যে ভাইস প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্ক। ওই বিতর্ক বেশ পরিপাটিভাবেই সম্পন্ন হয়।যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রার্থীদের মধ্যে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে তিনটি প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট ও একটি ভাইস প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট। প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের পরদিন, অর্থাৎ ৩০ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর মার্কিন ভোটারদের মধ্যে জরিপটি চালায় গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যম এনবিসি ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিতর্ক একটি অন্যতম অনুষঙ্গ এবং এটি নির্বাচনে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। মার্কিন রাজনীতিতে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়ন নিতে হলেও বিতর্ক প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয়। সেখানে প্রার্থীদের প্রজ্ঞা, মেধা, সহনশীলতাসহ অনেক কিছু সম্পর্কে ধারণা পান ভোটাররা।আগামী ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাম্প্রতিক জনমত জরিপে দেখা গেছে, জো বাইডেন জাতীয়ভাবে ট্রাম্পের চেয়ে জনসমর্থনে এগিয়ে রয়েছেন। তবে মার্কিন নির্বাচনে ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেটস’ বা পেনসিলভানিয়া, উইসকনসিন ও ফ্লোরিডার মতো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যে ভোটের লড়াইয়ের ফল নির্ধারণে প্রায়ই বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। ওইসব অঙ্গরাজ্যে প্রার্থীদের মধ্যে খুব হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে মনে করা হচ্ছে।এরই মধ্যে ৬০ লাখ মানুষ আগাম ট্রাম্প বা বাইডেনকে ভোট দিয়ে ফেলেছেন।

Share.