কে জিতবেন শান্তিতে নোবেল?

0

ডেস্ক রিপোর্ট: ছয়টি ক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হলেও বরাবরই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে শান্তি পুরস্কার। আজ বিকেলে নরওয়ে থেকে ঘোষিত হবে বিজয়ীর নাম। এবার এই ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পেয়েছেন ২১১ জন ব্যক্তি ও ২০৭টি প্রতিষ্ঠান। আলোচনায় আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প থেকে শুরু করে তরুণ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গের নামও। করোনা মহামারি আর বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার এই সময়ে কে পাচ্ছেন শান্তিতে নোবেল তা নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। কিন্তু গোপনীয়তায় ঘেরা প্রক্রিয়ায় বরাবরই চমক দেখানো ইতিহাস আছে বলে নিশ্চিত ইঙ্গিত দেয়ার ঝুকি নিতে রাজি নয় কেউই।  ব্রিটিশ জুয়াড়ি প্রতিষ্ঠান ল্যাডবস্ক মনে করছে, এইবার পুরস্কার পাবে কোনো প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি নয়। এই তালিকায় আছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য কাজ করা দুই প্রতিষ্ঠান। এগুলো হলো, কমিটি টু প্রটেকট জার্নালিস্ট এবং রিপোটার্স উইদাউট বর্ডারস। আরও আছে রুশ বিরোধী নেতা এলেক্সাই নাভালনের প্রতিষ্ঠান এফপিকে।  বর্ণবাদের বিরুদ্ধে আলোড়ন তোলা ‘ব্লাক লাইভস মেটার’ আন্দোলনকে সম্ভাব্য বিজয়ীর কাতারে রেখেছেন অনেকে। এছাড়াও  আলোচনায় আছে সুদান বিদ্রোহ। প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠন এফএফসি এবং তরুণ নেত্রী আল সালাহকেও রাখা হয়েছে সম্ভাব্য বিজয়ীর তালিকায়। মোট ৩১৮  মনোনয়নের মধ্যে এ বছর সবচেয়ে আলোচিত নাম ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসরাইলের সঙ্গে কয়েকটি আরব দেশের শান্তি আলোচনায় মধ্যস্ততা করা মার্কিন প্রেসেডেন্ট পুরস্কার জিতলে ভালোই প্রভাব পড়বে দেশটির আসন্ন নির্বাচনে। এছাড়াও তালিকায় আছেন নিউজিল্যান্ডের আলোচিত প্রধানমন্ত্রী জেসিনডা আর্ডার্নও।  বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী সরকারপ্রধান হয়েও দক্ষ্য হাতে সামলিয়েছেন ক্রাইস্ট চার্চ সন্ত্রাসী হামলা ইস্যু। জলবায়ু নিয়ে কাজ করা সুইডিস কিশোরী, গ্রেটা থুম্বারও আছেন আলোচনায়। ২০১৪ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে নোবেল জিতে চমকে দিয়েছিলেন পাকিস্তানি কিশোরি মালালা ইউসুফজাই। সেই বিবেচনায় গ্রেটার সম্ভাবনাও প্রবল।  ফওজিয়া কুফি। আফগানিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি-র প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট। রাজনীতিবিদ, নারী অধিকার কর্মী এবং দোহায় তালিবানের সঙ্গে চলতি শান্তি বৈঠকে প্রধান আলোচনাকারী ছিলেন তিনি। শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের দৌড়ে তিনিও আছেন এগিয়ে।  অবশ্য সারাবছর সম্ভাব্য বিজয়ী হিসেবে যাদের নাম আলোচনায় থাকে নোবেল কমিটি বরাবরই হাটে তার উল্টো পথে। এজন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ভাগ্য জুটবে পুরস্কার, এটা বলা সত্যিই দুূরহ।

Share.