ডেস্ক রিপোর্ট: প্রতিটি পুজোমণ্ডপ নো এন্ট্রি জোন। ঢুকতে পারবেন না দর্শনার্থীরা অর্থাৎ পুজোয় দর্শকশূ্ন্য থাকবে মণ্ডপ। প্রতিটি পুজোমণ্ডপকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসেব গণ্য করা হবে। পুজো বন্ধ শুনানিতে এমন রায় দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, ছোট-বড় সব মণ্ডপের চারপাশে ৫ থেকে ১০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত ব্যারিকেড করে দিতে হবে। ‘নো অ্যান্ট্রি’ ঘোষণা করতে হবে ব্যারিকেডের সেই অংশকে। সেখানে কাউকে ঢুকতে দেয়া হবে না। পুজোর প্রয়োজনে যাদের ঢুকতে হবে, মণ্ডপের বাইরে তাদের নামের তালিকা টাঙিয়ে রাখতে হবে। মণ্ডপের ভেতর ১৫-২৫ জনের বেশি ঢুকতে দেয়া হবে না। ঢুকতে দেয়া যাবে না ওই তালিকার বাইরেও কাউকে। এই দূরত্ববিধি মানার দায়িত্ব নিতে হবে পুলিশ এবং পুজোর উদ্যোক্তাদের। পুজোয় ভিড়ের আশঙ্কা থেকেই কলকাতা হাইকোর্ট এমন রায় দিয়েছেন। পুজো বন্ধ মামলায় বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন ২-৩ লাখ মানুষকে কিভাবে সামলাবে ৩০ হাজার পুলিশ? পুজোর বাজারের ভিড়! কাগজে যা ছবি দেখছি, তা ভয় জাগানো। তিনি বলেন, কলকাতা শহরে ৩ হাজার পুজো রয়েছে। পুলিশ রয়েছে ৩০ হাজার। সংখ্যা বৃদ্ধি করলেও তা হবে ৩২ হাজার। তা দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করে, তদন্তের কাজ সেরে আদৌ পুজো সামলানো কতটা সম্ভব? বিচারপতি তার পর্যবেক্ষণে বলেন, শিক্ষার্থীরা এত শৃঙ্খলাবদ্ধ, তারা ছয় মাস স্কুল-কলেজে যায়নি। তার মধ্যে এই জীবন সঙ্কটে কিভাবে দুর্গাপুজো সেলিব্রেশন হচ্ছে?
পূজামণ্ডপে ঢুকতে পারবে না দর্শনার্থীরা: কলকাতা হাইকোর্ট
0
Share.