৩ বিমানবন্দরের রানওয়েতে লাইটিং ব্যবস্থার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

0

ঢাকা অফিস: যশোর বিমানবন্দর, সৈয়দপুর বিমানবন্দর ও শাহ মখদুম বিমানবন্দর রাজশাহীর রানওয়ে সারফেসে অ্যাসফল্ট কংক্রিট ওভারলেকরণ প্রকল্পে ৫৬৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা খরচের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। আজ মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) একনেক সভায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। প্রকল্পটির বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুসাশনের কথা উল্লেখ করে সচিব মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, রানওয়ের উন্নয়নের প্রকল্পের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এসব বিমানবন্দরের ব্যবহার যেহেতু বাড়ছে এবং রাতে বিমান ওঠা-নামা যাতে করতে পারে, এজন্য যে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা, সেটি করতে হবে। তখন বিমান মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেছেন, তাদের এই পরিকল্পনা আছে। তারা রানওয়ের উন্নয়নের পরে এ কাজ শুরু করতে পারবেন। এ সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় অনুশাসন ছিল, বিমানবন্দরগুলোর ব্যবহার যেহেতু বৃদ্ধি পাচ্ছে, ইকোনমিক জোন হচ্ছে, অন্যান্য কার্যক্রম হচ্ছে, সেহেতু বিমানবন্দরগুলোর যথাযথ উন্নয়ন ও সংস্কার প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার অনেক বছর ক্ষমতায় আছে। ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় অনেক রাস্তা তৈরি করে ফেলেছি। ফলে রাস্তা বানানোর জন্য যে বরাদ্দ, সেটার যেন যথাযথ ব্যবহার হয়। এজন্য মনিটরিং বাড়াতে হবে। আর গ্রামের রাস্তায় ভারী যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। উন্নয়ন কার্যক্রম হচ্ছে, গ্রাম ও শহরের পার্থক্য কমে যাবে। ফলে গ্রামের রাস্তায় ভারী যানবাহন চলতে পারে, রাস্তাগুলো এখন থেকে সেভাবে নির্মাণ করতে হবে।স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কদমরসুল অঞ্চলে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের জন্য একনেকে ৩০১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রকল্পের বিষয়ে উনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার যে র্যা ঙ্কিং বা সেন্টার করা হবে, সেটা যেন পানিকে দূষিত না করে। পানি রাখার বা জলাশয়ের যেন পাশে না করে। ফলে দেখা যাচ্ছে, একপাশে সুপেয় পানির জায়গায় আছে, অন্যপাশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পানি রয়েছে। পাখি বা অন্য কিছু পানি নষ্ট করে ফেলছে। সেটা যেন না হয়, সেটা খেয়াল রাখতে হবে। খাদ্য উৎপাদন ও নিরাপত্তার বিষয়টা আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। সেই অনুযায়ী, কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমাতে হবে। নদীর পানি, বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

Share.