বাংলাদেশ থেকে পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি: বঙ্গপোসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে একটানা দুই দিনের বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায়
বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে আমন ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংখা করছে খামার কতৃপক্ষ । ঝড়ো হাওয়ায় আধা কাচা পাকা ধান মাটিতে নুয়ে পড়ে পানিতে ডুবে ও ধানের কুশি ভরা ফুল ঝরে পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মাটিতে নুয়ে পড়া পানিতে ডুবে
থাকা ধান পরিপূর্ণ পুষ্ঠ না হওয়া ও ধানের কালো কালো দাগ পড়ার সম্ভাবনা খুব বেশি রয়েছে। তাছাড়া কুশি ভরা ধানের ফুল ঝড়ো বাতাসে পড়ে যাওয়ায় পরাগায়ন না হলে চিটা হয়ে যেতে পারে। খামারে আমন ধানের ফলন খুব ভালো হয়েছিল। কিন্ত গত
বৃহস্পতিবার বিকালে ঝড়ো হাওয়ায় আধা পাকা ব্রিধান৭৩ এর ক্ষেত লন্ড ভন্ড হয়ে গেছে। দেখলে মনে হয় ঝড়ো হাওয়া পাকা ধান ক্ষেতে মই দিয়ে গেছে। উপকূলে অবস্থিত এ খামারটিকে লবন পানিসহ প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা করে ফসল ফলাতে হয়।
খামার সূত্রে জানাগেছে, চলতি আমন মৌসুমে খামারে বিআর ২৩ জাতের ১০ একর, ব্রি-ধান ৩০ জাতের ১২ একর, ব্রি ধান ৭৩ জাতের ৮ একর , ব্রি ধান ৮০ জাতের ১৬ একর ও ব্রিধান ৭৮ জাতের ৮ একর জমিতে আবাদ হয়েছে। সর্বমোট ৫৪ একর জমিতে
আমন ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ঝড়ো হাওয়ায় মাটিতে পড়ে পানিতে তলিয়ে ব্রিধান ৭৩ জাতের ৮ একরের মধ্যে ৭ একর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ব্রি ধান ৮০ জাতের ১৬ একর জমিতে আবাদকৃত ধানে সবে মাত্র ফুল ফুৃটেছে। ধানের ফুল পড়ে যাওয়ায় পরাগায়ন হতে না পারলে চিটা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া বাকি বিভিন্ন জাতের ধান ক্ষেতে কমবেশি ক্ষতি হয়েছে।শনিবার সকালে ঢাকা বিএডিসি কৃষি ভবন এগ্রো সার্ভিস সেন্টারের মহাব্যাবস্থাপক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান খামার মনিটরিং করতে আসেন । এ সময় খামারের ক্ষতি গ্রস্থ ধান ক্ষেত পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে খামারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন মোল্লা জানান, নিম্নচাপের প্রভাবে একটানা বৃষ্টি ও মাঝে মাঝে ঝড়ো হাওয়ায় চলতি মৌসুমে আমন ক্ষেতের ব্রিধান ৭৩ জাতের ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিআর ৮০ জাত ১৬ একর জমিতে আবাদ করা হয়েছে।এ জাতের ধানে সবে মাত্র ফুল ফুটতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় ঝড়ো হাওয়ায় ফুল ঝরে যাওয়ায় পরাগায়ন না হলে ধান চিটা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। পানিতে পড়ে যাওয়া ক্ষেতের ধানের চারটি গোছা এক সাথে বেধে দিয়ে দাড় করানোর হচ্ছে। আধা কাচা পাকা ধান পানিতে পড়ে যাওয়ায ধানে কালো কালো দাগ হয়ে যেতে পারে । তা ছাড়া পুষ্ট না হলে ধান চিটা হবে । এতে আশানারুপ বীজ উৎপাদন হবে না । তবে সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে ধান বাঁচানোর জন্য। ধানের কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা এখন বলা সম্ভব নয়। ধান কাটা ও ঝাড়াই করার পর ক্ষতির পরিমান নিরুপন করা যাবে। বীজ উৎপাদনে লক্ষমাত্রা পুরণ হবে কি না তা উৎপাদিত ধান কেমন হবে এবং ধান কেটে ঝাড়াই করে পরীক্ষা করা হলে জানা যাবে।
ঝড়ো হাওয়া বৃষ্টিতে বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি
0
Share.