বাধ্যতামূলক আরও ৪১টি পণ্যের মান সনদ নিতে হবে

0

ঢাকা অফিস:  বাজারে ভোগ্যপণ্যের মান নিয়ে প্রতিনিয়ত ভোক্তা প্রতারণার শিকার হলেও স্থায়ী নিরসন মিলছে না। ভেজাল ও নকল পণ্য নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমান আদালত মাঠে নামলেই মানহীন পণ্য পাওয়া যায়। রাজধানীসহ দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় শতশত মানহীন ভোগ্যপণ্যে ভোক্তাদের প্রতারিত করছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা। এই অসাধু ব্যবসায়ীদের নাগাল টানতে নতুন করে আরও ৪৩টি ভোগ্যপণ্যের মান সনদ বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। জানা গেছে, বর্তমানে ১৮১টি পণ্যের বাধ্যতামূলক মান সনদ দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। আর বাজারে শতশত পণ্য বিএসটিআইয়ের মান সদন ছাড়াই বিক্রি হচ্ছে। এসব পণ্য নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআইয়ের পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব পালন করছে। এরপরও বাজারে নকল ও ভেজাল পণ্য বিক্রি কমেনি। বাজারে বোতলজাত পানি, চকোলেট, চিপস, বিস্কুট, চানাচুরসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য বিএসটিআইর ‘বাধ্যতামূলক’ তালিকায় রয়েছে। অথচ অনেক কোম্পানি বিএসটিআইর সনদ ছাড়াই এসব পণ্য বাজারে বিক্রি করছে। পণ্যের মোড়কের গায়ে পণ্যের বিবরণ, ওজন, প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা ও বিএসটিআইর মানচিহ্ন থাকার কথা। বেশিরভাগ ছোট কোম্পানি এসবের ধার ধারে না। রাজধানীর বিভিন্ন দোকানে বিএসটিআইর মান-সনদবিহীন আইসক্রিম ও পানীয় দেদার বিক্রি হচ্ছে। ভেজাল ও নকল ভোগ্যপণ্য নিয়ন্ত্রণে রোববার বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশনের (বিএসটিআই) ৩৪তম কাউন্সিল সভায় নতুন করে আরও ৪৩টি ভোগ্যপণ্যের মান সনদ বাধ্যতামূলকের অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। লো ফ্যাট মিল্ক, ফ্লেভারড মিল্ক, আইস ললি, ন্যাচারাল মেহেদী, ডিসওয়াশিং লিকুইড, লিকুইড টয়লেট ক্লিনার, নেইল পলিশ, গোল্ড (স্বর্ণ), পাওয়ার লুমে তৈরি কটন শাড়ি, প্যাসেঞ্জার কার টায়ার ও রিম, হলো ক্লে ব্রিকস ও ব্লকস, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার রয়েছে এই ৪৩টি পণ্যের মধ্যে। শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সভাপতিত্বে বিএসটিআইয়ের কাউন্সিল সভায় কাউন্সিলের প্রথম সহসভাপতি শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, দ্বিতীয় সহসভাপতি শিল্পসচিব কে এম আলী আজম, সদস্য সচিব বিএসটিআইর মহাপরিচালক নজরুল আনোয়ার উপস্থিত ছিলেন। ওই সভায় জেলা পর্যায়ে বিএসটিআই এর অফিস সম্প্রসারণ ও সেবাদান কার্যক্রম জোরদার করতে বিদ্যমান আটটি বিভাগীয় অফিসের পাশাপাশি আরও ১৩টি আঞ্চলিক অফিস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয় সভায়। এছাড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের বাইরে ৪৩টি জেলায় মোবাইল কোর্ট, ফ্যাক্টরি পরিদর্শন ও সার্ভিল্যান্স পরিচালনার স্বার্থে প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ করে নিজস্ব অফিস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন পায়। বিশ্ব বাজারে হালাল পণ্য রপ্তানির ‘বিশাল সম্ভাবনার’ কথা তুলে ধরে শিল্পমন্ত্রী সভায় বলেন, এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বিএসটিআইকে দ্রুত হালাল পণ্যের মান নির্ধারণ ও মান সনদ দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে। শিল্প, স্বরাষ্ট্র, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট, তথ্য, কৃষি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, অর্থ বিভাগ, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বিসিএসআইআর, আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রক, ইপিবি এবং এফবিসিসিআই, এমসিসিআই, ক্যাবসহ কাউন্সিলের সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও সভায় অংশ নেন।

Share.