১২দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মারা গেলেন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত গৃহবধূ

0

বাংলাদেশ থেকে নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: ১২দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মারা গেলেন নড়াইলের গৃহবধূ শাওন খাতুন (২৭)। বুধবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান তিনি। গত ১৬ অক্টোবর বিকেলে যশোরের নওয়াপাড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হন শাওন। এ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন শাওনের স্বামীসহ চারজন। এ ব্যাপারে নিহত শাওনের বোন সাহারা জানান, দুর্ঘটনার দিন গত ১৬ অক্টোবর ট্রেনের ধাক্কায় নিহত হন তার বোন জামাই নড়াইল শহরের ভওয়াখালী এলাকার বাসিন্দা প্রকৌশলী হিরক ভূঁইয়া (৩৫), হিরকের বোন শিল্পী বেগম (৪২) ও ভাতিজি রাইসা (৭) এবং বন্ধু আশরাফুল আলম (৩৪)। আশরাফুল নড়াইল শহরের আশ্রম রোড এলাকার বাসিন্দা। নিহতরা সবাই প্রাইভেটকারের যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনার সময় হিরকের স্ত্রী ও দেড় বছরের শিশুকন্যা সন্তান আহত হয়। এখন শুধুমাত্র বেঁচে রইল হিরক-শাওন দম্পতির শিশু সন্তান হুমায়রা। এ দুর্ঘটনায় ডান হাত ভেঙ্গে শিশু হুমায়রা নানাবাড়ি রাজবাড়ি জেলায় চিকিৎসাধীন আছে। ঘটনার দিন হিরক ভূঁইয়া নড়াইল থেকে নিজের প্রাইভেটকার চালিয়ে পরিবারসহ খুলনায় ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে যশোরের নওয়াপাড়া রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তাদের প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। নড়াইল শহরের ভওয়াখালী এলাকার সানাউল্লাহ ভূঁইয়ার ছেলে হিরক ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।সাহারা আরো জানান, গতকাল বুধবার এশার নামাজ বাদ তার বোনের (শাওন) জানাজা শেষে তাকে রাজবাড়ি পৌরকবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পরেরদিন হিরকসহ নিহতদের নড়াইলে দাফন করা হয়। হিরকের শ্বশুরবাড়ি রাজবাড়ি জেলার চরলক্ষীপুর এলাকায়। স্বামী-স্ত্রী ছাড়াও একই পরিবারের চারজন এবং এক বন্ধুসহ পাঁচজন নিহতের ঘটনায় এলাকায় শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে। এদিকে তিন বছরের ব্যবধানে হিরকের বাবা-মা ও দুই ভাই রোগাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এখন শুধু হিরকের পিতৃকুলে বড় বোন শাহিন (তার নাম শাহিনই হবে, শাহিনা নয়) জীবিত রইলেন। হিরক তাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন।

Share.