ঢাকা অফিস: নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টা মামলায় বরখাস্ত হওয়া কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে এই মামলায় ইরফান সেলিমের সহযোগী মো. জাহিদ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর তাঁকেও কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান এই আদেশ দেন। আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) শাখার মুন্সি মোহাম্মদ কামরুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইরফান সেলিমকে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অপরদিকে তাঁর সহযোগী জাহিদ স্বীকারোক্তি দিতে চাইলে তাঁকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমানের আদালতে হাজির করা হয়। এরপরে তিনি স্বীকারোক্তি দেন। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর দুজনকে প্রথম তিন দিনের রিমান্ডে পাঠান। এরপর গত ১ নভেম্বর জিয়াউর রহমান ফের তাঁদের দুই দিনের করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে তাঁদের আজ আদালতে হাজির করা হয়। গত ২৫ অক্টোবর রাতে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খানকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় পরের দিন ২৬ অক্টোবর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইরফান সেলিম, এ বি সিদ্দিক দিপু, মো. জাহিদ ও মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো দু-তিনজনকে আসামি করে ধানমণ্ডি থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন ওয়াসিফ আহমদ খান। মামলার পর ওই দিন দুপুর থেকে র্যাব সদস্যরা রাজধানীর চকবাজারের ২৬ দেবীদাস ঘাট লেনে ‘চাঁন সরদার দাদা বাড়ী’তে অভিযান চালান। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। অভিযান শেষে অবৈধ ওয়াকিটকি ও মাদক রাখার দায়ে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী মো. জাহিদকে এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপর রাতে দুজনকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।গত ২৬ অক্টোবর দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ডিএমপির রমনা গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল টাঙ্গাইল থেকে ইরফান সেলিমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এ বি সিদ্দিক দিপুকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে একই মামলায় মোহাম্মদ ইরফান সেলিমের গাড়িচালক মো. মিজানুর রহমানকে একদিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।
কারাগারে ইরফান সেলিম, জাহিদের স্বীকারোক্তি
0
Share.