রাবি শিক্ষার্থীর মাথা পিটিয়ে ফাটাল ছাত্রলীগের ২ কর্মী

0

ঢাকা অফিস: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রলীগের দুই কর্মী একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের সোহরাব মিয়া নামের এক শিক্ষার্থীর মাথা পিটিয়ে ফাটিয়ে দিয়েছে। সোহরাবের বাম হাতের দুই জায়গাও ভেঙে গেছে মারধরের কারণে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলের তৃতীয় ব্লকে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের আট নাম্বার ওয়ার্ডে আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে সোহরাব। অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেন হুমায়ুন কবির নাহিদ ও আসিফ লাক। এদের দুইজনই রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার অনুসারী এবং জোহা হল শাখা ছাত্রলীগের দায়িত্বে রয়েছেন। মারধরের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, সোহরাবসহ ফ্যাইনান্স বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগ কর্মী আসিফ লাকের নেতৃত্বে হলের তৃতীয় ব্লকের ২৫৪ নাম্বার কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আসিফ লাক ও হুমায়ুন কবির নাহিদ মিলে সোহরাবকে নানা রকম প্রশ্ন করেন । কথাবার্তার এক পর্যায়ে তারা দু’জন মিলে সোহরাবকে রড দিয়ে মারধর করতে শুরু করে। তারা সোহরাবের মাথা ও হাতে পিটাতে থাকেন। এক সময়ে সোহরাব রক্তাক্ত হলে তারা মারধর বন্ধ করে দেন তারা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে ও পরে রামেকে ভর্তি করেন সোহরাবের বন্ধুরা। হাসপাতালে সোহরাবের সঙ্গে থাকা তার সহপাঠীরা জানান, সোহরাবের বাম হাতের কনুইয়ের ওপর ও নিচে দুই জায়গায় ভেঙে গেছে। মাথার তিন জায়গায় মোট ১৫ টি সেলাই দেওয়া হয়েছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন। প্রচন্ড পরিমাণে রক্তক্ষরণ হয়েছিল তার মাথা থেকে। আপাতত তার সিটিস্ক্যান করানো হয়েছে এক ব্যাগ রক্ত দিয়ে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সোহরাবের এক সহপাঠী জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন থেকেই সোহরাবকে নানাভাবে অত্যাচার করে আসছিল আসিক লাক। দুইদিন আগেও সোহরাবকে ডেকে নিয়ে চড় থাপ্পর মেরেছিল আসিফ লাক। এইদিকে আবার, মারধরের ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত আসিফ ও নাহিদের ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তাদের বক্তব্য জানার জন্য একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়ে থাকলেও তাদের সাথে শেষ পর্যন্ত যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Share.