ডেস্ক রিপোর্ট: জানুয়ারির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে যেতে না পারলে ধূলিসাৎ হবে প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থীর স্বপ্ন। শিক্ষার্থী ভিসা চালু না হওয়ায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও গ্র্যান্ড বাতিল হওয়ার আশঙ্কায় এসব শিক্ষার্থীরা। সমস্যা সমাধানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মার্কিন দূতাবাসের সহায়তা চেয়েছে ভুক্তভোগীরা। চলতি বছর যাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে যাওয়ার কথা ছিল, করোনার কারণে তা আটকে যায়। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেও কেবল বাকি ছিল ভিসা। ফলে অনিশ্চয়তায় প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ। যুক্তরাষ্ট্র পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের শিক্ষার্থীদের ভিসা দেয়ার কাজ শুরু করেছে ১৭ আগস্ট থেকে। পাকিস্তানে শুরু হয়েছে ২৮ সেপ্টেম্বর আর শ্রীলঙ্কায় ৮ অক্টোবর। অথচ বাংলাদেশে তা শুরু হয়নি এখনও। জানুয়ারির মধ্যে যেতে না পারলে প্রায় সবারই স্কলারশিপ কিংবা ফান্ড বাতিল হয়ে যাবে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা যদি নভেম্বর ডিসেম্বরের মধ্যে ভিসার জন্য দাঁড়াতে না পারি তাহলে আমাদের সিটটা আর থাকবে না। ফলে জানুয়ারিতে পিএইচডির অফারটা আর থাকবে না। আমাদের জন্য বরাদ্দকৃত ফান্ডটাও তখন অন্য কোনো দেশের স্টুডেন্টকে দিয়ে দেবে। কারণ তারা তো আর আমাদের জন্য বসে থাকবে না।বিষয়টির সুরাহা করতে শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে চিঠি দিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। তবে আশানুরূপ ফল মেলেনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, যারা পিএইচডির সুযোগ পেয়েছে তারা অবশ্যই যাবে। কিন্তু যেহেতু তাদের মিশনে কাজের লোক নেই। কোভিডের জন্য কেউ কাজে যোগ দেয়নি, সেজন্য তারা স্টুডেন্ট ভিসা ইস্যু করতে পারছে না। সমস্যার সমাধান হলে এ বছর বাংলাদেশ থেকে উচ্চশিক্ষা কিংবা পিএইচডির জন্য ২৫১০ জন যুক্তরাষ্ট্রে যাবার কথা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পেলে আড়াই হাজার শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল
0
Share.