ডেস্ক রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পর জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিসকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন বিশ্ব নেতারা। তবে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা এখনও বাইডেন ও হ্যারিসকে অভিনন্দন জানাননি। ওই নেতারা গত চার বছরের বিভিন্ন সময় ট্রাম্পের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরপরই তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে বাইডেনকে এখনও অভিনন্দন জানায়নি ক্রেমলিন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, নির্বাচনের ফল নিয়ে মন্তব্য করার আগে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনের ফলের জন্য অপেক্ষা করবে মস্কো। বিগত নির্বাচনের সময় ট্রাম্প চীনকে এক হাত নিয়েছেন। নির্বাচনে জেতার পর গত চার বছরেও চীনের সঙ্গে বাণিজ্য, প্রযুক্তি, মানবাধিকারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন ট্রাম্প। সবশেষ গত বছর চীনের উহান থেকে করোনার বিস্তার ঘটলে তা নিয়ে বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি ঘটে। তবে ২০১৬ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প জেতার পর শুভেচ্ছা জানাতে দেরি করেনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বাইডেনকে শুভেচ্ছা না জানানোর তালিকায় রয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়েপ এরদোয়ানও। বিভিন্ন সময় তিনি ট্রাম্পের কাছ থেকে প্রশংসা পেয়েছেন। এমনকি এরদোয়ানের অনেক কাজেরই সমর্থন করেছেন ট্রাম্প। তবে তুরস্ক নিয়ে গত বছর এক সাক্ষাৎকারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন বাইডেন। তাই প্রত্যাশিতভাবেই এরদোয়ানের শুভেচ্ছা পাননি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট। তাকে বলা হয় ‘ব্রাজিলের ট্রাম্প’। এখনও পর্যন্ত নিজের সেই নামের সদ্ব্যবহার করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারো। ট্রাম্পের মতো তিনিও করোনাভাইরাসকে পাত্তা দেননি। আর এখন এর খেসারত দিচ্ছে দেশটি। যাইহোক হোয়াইট হাউজে নিজের বন্ধুকে হারিয়ে স্বাভাবিকভাবেই হয়তো একটু খেই হারিয়েছেন বলসোনারো। প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকোর সঙ্গেও সীমান্ত দেয়াল, বর্ণবাদ ইত্যাদি ইস্যুতে গত কয়েক বছর ধরে গরম কথা বলছেন ট্রাম্প। তবে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেছেন ট্রাম্প। উভয় দেশ বাণিজ্য চুক্তিও করেছিল গত জুলাইয়ে। তাই বাইডেনকে শুভেচ্ছা জানানোর ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করছেন ওব্রাদর।
যে কারণে বাইডেনকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন না এই নেতারা
0
Share.