বিহারে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে এনডিএ, শুভেচ্ছা মোদীর

0

ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতের বিহারে সরকার গঠন করতে চলেছে ক্ষমতাসীন এনডিএ জোট। কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি জোট সঙ্গীদের নিয়ে আবারও এই রাজ্যের ক্ষমতায় ফিরছে। এনডিএ জোটের এ সাফল্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিহারের ২৪৩ আসনের বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হয় মঙ্গলবার সকালে। সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন পড়ে ১২৩টি আসন। রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের দলের সঙ্গে জোট গড়ে নির্বাচনে অংশ নেয় বিজেপি। আর বিরোধীদের মহাগঠবন্ধনের নেতৃত্বে রয়েছে তেজস্বী যাদবের আরজেডি। বর্তমানে দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দি সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের ছেলে তিনি। দলভিত্তিক ফলের নিরিখে তিন নম্বরে চলে গেছে মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের দল। এক নম্বরে বিরোধী মহাগঠবন্ধনের প্রধান শরিক আরজেডি। অপ্রত্যাশিত ভালো ফল করেছে বাম দলগুলোও। কিন্তু কংগ্রেসের আসন গত বারের থেকে কমেছে। বিরোধী শিবিরের আফসোস, সনিয়া গান্ধীর দল একটু ভালো ফল করলেই ক্ষমতা দখল নিশ্চিত হত। সূত্রের খবর, বিজেপি জেডিইউয়ের থেকে বেশি আসন পাওয়ায় আগের ঘোষণা মতোই নীতিশকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে না কি ওই পদের দাবি জানানো হবে, তা নিয়ে দলে আলোচনা হয়েছে। এদিকে নীতিশের বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগ এনেছে কংগ্রেস ও বামেরা। কংগ্রেসের অভিযোগ বৈশালী জেলার রাজাপাকর আসনে এবং সিপিআইয়ের (এমএল) অভিযোগ ভোরে, আরা, ধরাউন্ধা আসনে তাদের প্রার্থীরা জেতা সত্ত্বেও বিজয়ী ঘোষণা করা হয়নি। ওই আসনগুলোর ভোটে পুনর্গণনার পাশাপাশি ভিভিপ্যাট মেশিনে যে স্লিপ জমা পড়েছে তাও গোনার দাবি জানানো হয়েছে। ভোট ফলাফলের প্রাথমিক বিশ্লেষণ বলছে, নীতিশের ভরাডুবির অন্যতম কারণ হলো প্রতিষ্ঠানবিরোধিতা। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চিরাগ পাসোয়ানের বিরোধিতা। এনডিএ ছেড়ে শুধু জেডিইউয়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়া লোকজনশক্তি পার্টি নিজেরা মাত্র একটি আসনে জিতলেও ভোট কেটে অন্তত ২৫ থেকে ৩০টি আসন হারিয়ে দিয়েছে জেডিইউকে। অন্য দিকে, বিরোধী জোটকে আবার ধাক্কা দিয়েছে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল এমআইএম। উত্তর বিহারের মুসলিম অধ্যুষিত সীমাঞ্চল এলাকায় ডজনখানেক আসনে মহাগঠবন্ধনের প্রার্থীদের জেতা ভন্ডুল করে দিয়েছে তারা। অনেকেরই মতে, বিজেপির হাতে তামাক খেয়েই মহাগঠবন্ধনের ভোট কাটতে আসরে নেমেছিল এমআইএম। তবে দিনের শেষে ৫টি আসন জেতায় ওয়েইসির মন্তব্য, যারা এমন কথা বলেছিলেন, তাদের যোগ্য জবাব দিয়েছি।

Share.