ঢাকা অফিস: নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার মামলায় বরখাস্ত হওয়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলায় জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি এই আদেশ দেন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মো. শওকত আকবর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামি ইরফান সেলিম এবং তাঁর সহযোগী মোহাম্মদ জাহিদ জামিনের আবেদন করলে বিচারক সে আবেদন নাকচ করে দেন। এর আগে গত ৮ নভেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কায়সারুল ইসলাম অস্ত্র মামলায় ইরফান ও তাঁর সহযোগী জাহিদকে তিন দিন করে এবং আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার মাদক মামলায় দুজনকে দুদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। সেই রিমান্ডের পর গতকাল শনিবার আদালতে হাজির করা হলে ঢাকার সিএমএম আদালত তাঁদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। গত ২৫ অক্টোবর রাতে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খানকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। পরের দিন ২৬ অক্টোবর সকালে জাতীয় সংসদের সদস্য হাজি সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম, এ বি সিদ্দিক দিপু, মো. জাহিদ ও মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো দু-তিনজনকে আসামি করে ধানমণ্ডি থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন ওয়াসিফ আহমদ খান। ওই দিন দুপুর থেকে র্যাব সদস্যরা রাজধানীর চকবাজারের ২৬ দেবীদাস ঘাট লেনে ‘চাঁন সরদার দাদা বাড়ী’-তে অভিযান চালান। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। অভিযান শেষে অবৈধ ওয়াকিটকি ও মাদক রাখার দায়ে ইরফান সেলিম ও তাঁর দেহরক্ষী মো. জাহিদকে এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপর রাতে দুজনকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। অপরদিকে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় গত ২৬ অক্টোবর গাড়িচালক মিজানুর রহমানকে একদিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। একই মামলায় গত ২৭ অক্টোবর ইরফানের সহযোগী আসামি দিপুকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক বিভিন্ন সময়ে তাঁদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ইরফান সেলিম ও জাহিদের জামিন নাকচ
0
Share.