ডেস্ক রিপোর্ট: ইরানের অভিজ্ঞ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসিন ফাকরিজাদেহ হত্যায় প্রাথমিকভাবে দেশটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এই ঘটনায় ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র জড়িত। তাই ইরাকে অবস্থিত ইরবিল ও আল-আসাদ মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালাতে পারে তেহরান। ফাকরিজাদেহকে হত্যার পর জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতারেস শান্তি বজায় রাখতে আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির হামলাকারীদের পাল্টা আঘাত করার অঙ্গীকার করেছেন। চলতি বছরের শুরুতে ইরানের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার জবাবে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন দুই ঘাঁটিতে হামলা করা হয়েছিল। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের সিনিয়র বিশ্লেষক লাহিব হিজেল ধারণা করছেন, ফাকরিজাদেহ হত্যায়ও তেহরানের পক্ষ থেকে ইরাকের হামলা চালানো হতে পারে। ইরাকি এই বিশ্লেষক বলেন, ‘এমনও হতে পারে জানুয়ারিতে তারা ট্রাম্পের অফিস ত্যাগ হওয়া পর্যন্ত হামলা চালানো বন্ধ রাখতে পারে। আবার তারা এতদিন পর্যন্ত অপেক্ষা নাও করতে পারে।’ এদিকে ইউরো এশিয়া গ্রুপের বিশ্লেষক হেনরি রোমের মতে, বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার সুযোগ রয়েছে ইরানের কাছে। তাই এই হামলা চালানোর আগে তারা নতুন সম্পর্কের পথ রোধ করবে।
বিজ্ঞানী হত্যার প্রতিশোধ নিতে আবারও মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা করবে ইরান
0
Share.