ঢাকা অফিস: মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, সর্বোচ্চ জরিমানায় কাজ না হলে মাস্ক না পরার অপরাধে জেল দেয়া হবে। আজ সোমবার (৩০ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ কথা জানান। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আগেই বলেছি আমরা এই সপ্তাহ থেকে আরেকটু স্ট্রং অ্যাকশনে যাব। আমার মনে হয়, ঢাকার বাইরে পজিটিভ। ডিসিরা বলছেন, জেলা সদরে মানুষ মোটামুটি কেয়ারফুল হচ্ছে। ঢাকা শহরে বোধহয় এখনও পুরোপুরি কেয়ারফুল হয়নি, তবে মোটামুটি একটা বার্তা যাচ্ছে যে (মাস্ক না পরলে) ফাইন হয়ে যাবে, ফাইন দিতে হবে ৫০০ টাকা। বলেছি সর্বোচ্চ জরিমানা করতে। তিনি বলেন, ‘আস্তে আস্তে আমরা…তারপর জেলে যেতে হবে। কী করবে, না যদি শোনে, আমরা তো উই ক্যান নট টেক রিকস, আমাদের যতটুকু সম্ভব করতে হবে। আমরা আর সাত থেকে ১০ দিন দেখব, তারপর ইনস্ট্রাকশন দিয়ে দেব- আরও কঠোর পানিশমেন্টের। যথাসম্ভব বেশি করে ফাইন করা হবে এবং স্ট্রং পানিশমেন্ট দেয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, গেলো ১৪ অক্টোবর ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ডের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বাংলাদেশ সরকারের কাছে ৩ কোটি ডোজ বিক্রির প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন। গেলও ৫ নভেম্বর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সঙ্গে সিরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক সই হয়। পরবর্তীতে ১৬ নভেম্বর অর্থ বিভাগ ভ্যাকসিন কেনার জন্য স্বাস্থ্যসেবা বিভাগকে ৭৩৫ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মানুষকে এই ভ্যাকসিন বিনা পয়সায় দেয়া হবে। টাকা সরকার পে করে দিচ্ছে। ৩ কোটি ভ্যাকসিন ফ্রি দেয়া হবে। আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটা গাইডলাইন আছে। এই ভ্যাকসিন প্রথম কারা পাবে, দ্বিতীয় ধাপে কারা পাবে সে অনুযায়ী তারা একটা প্রোগ্রাম ডেভেলপ করছে। ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার- পুলিশ, প্রশাসনের লোক যারা মাঠে চাকরি করছে, তারপর বয়স্ক লোক, বাচ্চা- এরকম একটা প্রোটোকল আছে।
মাস্ক না পরার অপরাধে জেল দেয়া হবে
0
Share.