ডেস্ক রিপোর্ট: কাতারের ওপর তিন বছর আগে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট অবরোধ আরোপ করে। এরপর রিয়াদ ও দোহার মধ্যে সম্পর্কে অবনতি ঘটে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দুই দেশের মধ্যে বরফ গলতে শুরু করেছে। খুব শিগগিরই কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নতির ব্যাপারে সৌদি প্রাথমিকভাবে সম্মত হয়েছে।জানুয়ারিতে ক্ষমতা ছাড়ার আগে গালফ সংকট মোকাবিলায় শেষ চেষ্টা চালাতে চাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে গালফ অঞ্চল সফর করছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা জারেড কুশনার। সেখানে তিনি সৌদি ও কাতারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানে সঙ্গে বৈঠক করেন কুশনার। আর কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে বুধবার দোহায় বৈঠক করেন ট্রাম্পের এই উপদেষ্টা। অবশ্য কাতারের আমিরের সঙ্গে বৈঠক শেষে দোহা ছেড়েছেন কুশনার। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বুধবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, ওই আলোচনার মূল বিষয় হবে কাতারের বিমানের জন্য সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আকাশসীমা উন্মুক্ত করে দেয়া। যাতে করে কাতারের বিমান দেশ দুটির আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারে। যদিও ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, আসন্ন এই সমঝোতায় আমিরাত, বাহরাইন ও মিশর সম্পৃক্ত থাকবে না। এই তিন দেশের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ করেছিল সৌদি আরব। ২০১৭ সালে ওই অবরোধের আওতায় কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করে দেশ তিনটি। এছাড়া কাতারের ওপর স্থল, জল ও আকাশপথে অবরোধও আরোপ করে এই জোট। জোটের অভিযোগ যে, দোহা সন্ত্রাসবাদে সমর্থন করছে এবং ইরানের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রেখে চলছে। যদিও কাতার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
কাতারের সঙ্গে সমঝোতার দ্বারপ্রান্তে সৌদি
0
Share.