ঢাকা অফিস: দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার কৃষকদের মাঝে রসুন চাষের ধুম পড়েছে। চলতি মৌসুমের লক্ষ্যমাত্রার চাইতে অনেক বেশি রসুন চাষ হচ্ছে এবার উপজেলায়। ফলন বেশি হওয়ায় এবং ভালো দাম পাওয়ায় অনেকেই ঝুঁকছেন রসুন চাষে।উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২৬০০ হেক্টর জমিতে রসুন রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে রসুন চাষ হবে এবার। গত শনিবার উপজেলার জুগীরঘোপা, কায়েমপুর, জোয়ার, কাচিনীয়া, রামনগর, গোয়ালডিহি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, মাঠে মাঠে কৃষক-কৃষানিরা দল বেঁধে বিনা চাষে রসুন রোপণ করছে। কৃষকরা জানান, প্রতি একর জমিতে রসুন চাষে শ্রমিক ও চাষ বাবদ খরচ হয় প্রায় ২০ হাজার টাকা। আর বীজ, সার ও সেচ বাবদ খরচ হয় আরও ৩০ হাজার টাকা। এতে করে প্রতি একরে খরচ হয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা। ভালো ফলন হলে একরপ্রতি ৫৫ থেকে ৬০ মণ রসুন পাওয়া যায়। গড়ে প্রতি মণ রসুন আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকা করে হলে দাম পাওয়া যায় প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা থেকে দেড় লাখ টাকার মতো। রসুন ঘরে তোলা, বাছাই ও বাজারজাতকরণে আরও প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ বাদ দিলেও লাভ থাকে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। তবে এই দামে রসুন বিক্রি করতে হলে মৌসুমের শুরুতেই নয়, একটু অপেক্ষা করতে হয়। কায়েমপুর গ্রামের রসুন চাষি নাজমুল হক বলেন, তিনি এ বছর দুই বিঘা জমি ২২ হাজার টাকায় লিজ নিয়ে রসুন চাষ করছেন। স্বল্প সময় ও অন্য ফসলের চেয়ে কম পরিশ্রমে অধিক ফলন হওয়ায় এবং বর্তমানে রসুনের দাম ভালো হওয়ায় তিনি রসুন চাষ করছেন।উপজেলা কৃষি অফিসার বাসুদেব রায় জানান, রসুন মসলাজাত অর্থকরী ফসল। খরচ কম ও অধিক লাভ হওয়ায় বর্তমানে এই ফসলের ব্যাপক হারে চাষ হচ্ছে। রসুন চাষে কৃষককে উৎসাহিত ও সহযোগিতা করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে উপ-সহকারী কর্মকর্তারা। আগামীতে এই ফসলের চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি জানান।
খানসামায় রসুন চাষের ধুম
0
Share.