পদ্মা সেতু: স্বনির্ভর বাংলাদেশের সোনালী স্বাক্ষর

0

ঢাকা অফিস: স্বপ্নের পুরো পদ্মা সেতু এখন দাঁড়িয়ে। মাওয়া ও জাজিরাকে জুড়ে দিল ছয় দশমিক এক পাঁচ কিলোমিটারের সেতু।  বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১২টা দুই মিনিটে সবশেষ ৪১ নম্বর স্প্যানটি বসানোর ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হলো পুরো বাংলাদেশ। পদ্মা সেতু কেবলই অর্জন নয়, স্বনির্ভর বাংলাদেশের সোনালী স্বাক্ষর। সেতুর কাজ শুরুর পর ৫ বর্ষায় ৫ বার নতুন জলে ভরেছে পদ্মার বুক, শীতে শুকিয়েছে ফের নতুন করে। নদীর দুই তীরের মানুষ সাক্ষী হয়েছে স্বাধীনতার পর দেশের ইতিহাসে অন্যতম বড় এ অর্জনের। নরম পলিতে প্রবেশ করেছে একটার পর একটা শক্তিশালী খুঁটি, জেগে উঠা পিলারগুলোতে যুক্ত হয়েছে স্বপ্নপূরণের নতুন নতুন স্প্যান। সে পদ্মার আজ দু’পাড়ের মিলনের দিন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঘন কুয়াশা দেয়াল তুলে রাখে নদীর বুকে, খুব বেশি দূর দেখা যাচ্ছিল না। মাঝনদীতে একটি মাত্র শূন্যস্থান পূরনের জন্য সব প্রস্তুতি সারা। অপেক্ষা শুধু আশা জাগানিয়া এক সূর্যের। সকাল সাড়ে ৯ টায় সূর্য উঠার সাথে সাথেই ক্রেনের উপরের অংশে তোলা শুরু হয় বহু কাঙ্খিত স্প্যানটি। পিলারের সমান উচ্চতায় তুলতে সময় লাগে ৩০ মিনিট। আগের দিন রাতে স্প্যানটি পিলারের কাছে এনে রেখে নোঙ্গর করার কাজ করাই ছিল। সঙ্গে আছে এখানকার প্রকৌশলীদের আগে ৪০টি স্প্যান বসানোর অভিজ্ঞতা। তাই কাজ শুরুর দেড়ঘন্টা পর দুপুর ১২টা ২ মিনিটে অর্জন হয় মাইলফলক। খুশিতে হেসে উঠে পদ্মার দুই পাড়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপে্টম্বর প্রথম স্প্যানটি তোলার ৩ বছর পর অর্জন হলো সবগুলো স্প্যান দৃশ্যমান করার সাফল্য। তবে তাতেই থেমে না থেকে প্রকল্প কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য এখন সেতুতে যানবাহন চলাচল শুরু করার। পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সব সফল হবে তখনি, যখন আমরা ব্রিজটা ওপেন করতে পারব। সেই দিনের অপেক্ষায় আছি। আমরা সবার দোয়া চাই। আমরা যেন সফল হয় সেজন্য সবার দোয়া কামনা করছি।’সেতু চালু হলে রাজধানী থেকে এক ঘণ্টায় যাওয়া যাবে ফরিদপুর। প্রতিদিন গড়ে ২৪ হাজার যানবাহন চলাচল করবে এ সেতু দিয়ে।

Share.