বাংলাদেশ থেকে পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি: পাইকগাছায় আমন মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধান ও বিচুলীর দাম বেশী থাকায় কৃষকরা খুশি। উপজেলায় পুরাদমে আমন ধান কর্তন চলছে। উঁচু ক্ষেতের আমন ধান কর্তন শেষ হয়েছে। তবে নিচু ও মৎস্য লিজ ঘেরে আমন ক্ষেতের ধান কাঁটা ও মাড়াই চলছে। বি আর ২৩ ধানের কর্তন সবে শুরু হয়েছে। আগামী ১০/১৫ দিনের মধ্যে
পুরা জমির ধান কাটা সম্পন্ন হবে বলে কৃষকরা জানিয়েছে। আবহাওয়া জনিত কারণ ও মৎস্য লিজ ঘের গুলোতে দেরিতে আমনের আবাদ করা হয়। সে জন্য আমন কাটাও দেরিতে শুরু হয়। নতুন আমন ধান আশানারূপ দামে বিক্রি হচ্ছে। নতুন আমন ধান মন প্রতি ৮শ থেকে সাড়ে ৯শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ধানের থেকে বিচুলীর চাহিদা ও মুল্য বেশী থাকায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১৭ হাজার ২শত ২০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড ৫৭০ হেক্টর,উফশী ১৫ হাজার ৮ শত ৫০ হেক্টর ও স্থানীয় জাত ৮শ
হেক্টর জমিতে আমনের চাষ হয়েছে। উঁচু ক্ষেত্রের ধান কাঁটা শেষ হয়েছে। মৎস্য লিজ ঘেরের ধান কাটা চলছে। প্রায় ৬৫ ভাগ ক্ষেতের ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। হেক্টর প্রতি ফলন হাইব্রীড ৭.৬ মেট্রিকটন, উফশী ৫.৫ মেট্রিকটন ও স্থানীয় জাতের ৩ মেট্রিকটন
হারে ফলন পাওয়া যাচ্ছে। প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় নিচু এলাকার লবণের মাত্রা কমে যাওয়ায় ফলন আশানারূপ হয়েছে। উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের পুরাইকাটী কৃষক ফারুক হোসেন জানান, তার ৫ বিঘা জমিতে গত বারের তুলনায় এ বছর ফলন ভালো হয়েছে । তোকিয়ার
কৃষক শফিকুল জানায় ধানের দাম ভালো ও অধিক দামে বিচুলী বিক্রি হওয়ায় সে খুশি। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, চলতি মৌসুমে আমনের ফলন ভাল হয়েছে। প্রচুর বৃষ্টিতে লবণাক্ত মাটি পরিশোধিত হওয়ায়
আমনের ফলন ভাল হয়েছে। কৃষকরা ধানের দাম ভালো ও বিচুলীতে অধিক দাম পাওয়ায় আমন চাষে তাদের আগ্রহ বেড়েছে।
পাইকগাছায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে
0
Share.