আজারবাইজানে কবিতা আবৃত্তি করে ইরানের তোপের মুখে এরদোয়ান

0

ডেস্ক রিপোর্ট: আজারবাইজান সফরে গিয়ে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে একটি কবিতা আবৃত্তি করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়েপ এরদোয়ান। এ ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ইরান। জল গড়িয়েছে অনেক দূর পর্যন্তও। ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে তেহরানে নিযুক্ত তুর্কি রাষ্ট্রদূতকেও তলব করে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সাম্প্রতিক যুদ্ধে আর্মেনিয়ার হাত থেকে নিজের ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার উপলক্ষে বৃহস্পতিবার আজারবাইজান এক উৎসব পালন করে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ওই উৎসবে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত এক সামরিক কুচকাওয়াজে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের উপস্থিতিতে বক্তব্যও প্রদান করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। এসময় আজারবাইজান ও ইরানের সীমান্তবর্তী আরাস নদী নিয়ে একটি কবিতা আবৃত্তি করেন এরদোয়ান। ওই কবিতায় ইরানের আজারবাইজান প্রদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় আরাস নদীর উত্তর অংশে অবস্থিত বর্তমান স্বাধীন রাষ্ট্র আজারবাইজানের পক্ষ থেকে আক্ষেপ প্রকাশ করা হয়েছে।  এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ইরান বলছে, তেহরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছেন এরদোয়ান। এজন্যই তেহরানে নিযুক্ত তুর্কি রাষ্ট্রদূতকে তলব করে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদে শুক্রবার বলেন, আজারবাইজান সফরে গিয়ে এরদোয়ান ইরানের ব্যাপারে যে অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্য দিয়েছেন তার প্রতিবাদে তুর্কি রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, তেহরানে নিযুক্ত তুর্কি রাষ্ট্রদূতকে শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের  বক্তব্যের ব্যাপারে অবিলম্বে আঙ্কারার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। খাতিবজাদে বলেন, তুর্কি রাষ্ট্রদূতকে এ কথা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, অন্য দেশের ভূমি দখল ও সম্প্রসারণকামী সাম্রাজ্যবাদী শাসনের যুগ বহু আগে শেষ হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, ইরান তার সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার ব্যাপারে কারও সঙ্গে আপোষ করবে না। ইরান তার জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নেও কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেবে না বলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

Share.