বাংলাদেশ থেকে কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি: বরখাস্ত হওয়া টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাসের ইয়াবা বাণিজ্যের কথা জেনে যাওয়ায় মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানকে হত্যা করা হয়। হত্যার পরে বাহারছড়া ক্যাম্পের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ বাকি আসামিদের নিয়ে মাদক উদ্ধারের নাটক সাজান ওসি প্রদীপ। রাজধানীর কারওয়ান বাজারেে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়। কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আজ রোববার সিনহা হত্যায় ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনটি দাখিল করেন র্যা ব-১৫-এর কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. খায়রুল আলম। অভিযুক্তদের মধ্যে ১৪ জন কারাগারে এবং একজন পলাতক রয়েছেন। দীর্ঘ চার মাসেরও বেশি সময় পর আলোচিত এই মামলাটি তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দেয়া হলো আজ।প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর এএসপি মো. খায়রুল আলম বলেন, ‘সিনহা হত্যা মামলাটি আমরা নানাভাবে তদন্ত করেছি। হত্যার ঘটনা তদন্ত নেমে র্যাব এ ঘটনায় ১৫ জনের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে। অভিযুক্তদের মাঝে বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপসহ ১৪ জন কারাগারে রয়েছেন। সাগর নামের ওসি প্রদীপের এক সহযোগীকে পলাতক দেখানো হয়েছে।’ মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাস, বাহারছড়া ক্যাম্পের পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, টেকনাফ থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্য ছাড়াও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-এপিবিএনের তিনজন এবং স্থানীয় তিনজনসহ মোট ১৪ জনকে অভিযুক্তের পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওসি প্রদীপের ইয়াবা বাণিজ্যের কথা জেনে যাওয়ায় সিনহা হত্যা
0
Share.