ঢাকা অফিস: নওগাঁয় প্রেমের ফাঁদে ফেলে বাসায় ডেকে নিয়ে নানাভাবে বেকায়দায় ফেলে চাঁদা আদায় চক্রের ৭ প্রতারককে আটক করেছে নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশ। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে আত্রাই থানার বান্দাইখাড়া বাজার এলাকার আব্দুল খালেকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।আটককৃতরা হলেন- জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার সরস্বতীপুর পুকুরপাড়া গ্রামের বুলুর কন্যা বুলবুলি (২৩), নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার মধু গুড়নই গ্রামের ইউসুফ শেখের ছেলে বাহাদুর শেখ ৩৮), তার স্ত্রী মুক্তা (৩৮), চকবাড়িয়া বাউস্থাপাড়া গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে ইদ্রিস আলী (৪৫), কাশিয়াপাড়া গ্রামের আজিজুল হাকিমের ছেলে আল আমিন, নবারের তাম্বু গ্রামের নুরুল ইসলামের স্ত্রী মুন্নি বিবি (২৮) এবং সদর উপজেলার বাচাড়ীগ্রাম সোনার পাড়ার মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে এনামুল হক। আজ রোববার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নওগাঁ সদর মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. আব্দুল মান্না মিয়া জানান, নওগাঁ শহরের বাঙ্গাবাড়িয়া মহল্লার হাফেজ উদ্দিন কবিরাজের ছেলে টিটু’র বাসায় ভাড়া থেকে আসামি মোছা. বুলবুলি বেগম (২৩) এর মাধ্যমে বিভিন্ন লোকজনকে মোবাইল ফোনে কথা বলে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন। পরে কৌশলে বাসায় নিয়ে এসে আটক এবং বিবস্ত্র করে সাংবাদিক পরিচয়ে ছবি তুলেন। এছাড়াও ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ১২ ডিসেম্বর দুপুরে আত্রাই থানার বান্দাইখাড়া বাজার এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে নাসির উদ্দিনকে ওই বাড়িতে ডেকে নেয় এবং ঘরে আটক করে রাখে। এরপর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে এবং চাকু দিয়ে হত্যার হুমকি প্রদান করে থাকেন। তার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। আসামিরা ওই নাসির উদ্দিনকে দিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ পৌঁছানোর কথা বলতে বাধ্য করানো হয়।
প্রেমের ফাঁদে ফেলে বাসায় এনে চলতো নির্যাতন
0
Share.