স্পোর্টস ডেস্ক: দুই ওপেনারকে হারানোর পর অধিনায়ক তামিম ইকবালও ব্যর্থ হলেন। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জ্বলে উঠতে পারলেন না তিনি। তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে তাই চাপ বাড়ছে বরিশালের। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফরচুন বরিশালের সংগ্রহ তিন উইকেটে ৬০ রান। উইকেটে আছেন তৌহিদ হৃদয় ও আফিফ হোসেন। জয়ের জন্য ৫০ বলে আরো ৯০ রান চাই বরিশালের। বেক্সিমকো ঢাকার দেওয়া ১৫১ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দেখেশুনে করেন তামিম-সাইফ। ২.৪ ওভারে সাইফকে সরাসরি বোল্ড করেন শফিকুল। ৯ বলে ১২ রান করে ফেরেন বরিশালের ওপেনার। এরপর দিনে ব্যাট করতে নামা পারভেজকে টিকতে দেননি রবিউল ইসলাম রবি। এরপর ৫৯ রানে তামিমকে আউট করেন মুক্তার আলী। দুই বাউন্ডারি ২৮ বলে ২২ রান করে ফেরেন বরিশাল অধিনায়ক।মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটে ১৫০ রান করে বেক্সিমকো ঢাকা। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন ইয়াসির। ৪৩ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল তিন ছক্কা দুই বাউন্ডারি।এদিন টসে হেরে ব্যাট করতে নামা ঢাকার ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই নাঈমকে ফাঁদে ফেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে ফাইন লেগে শট খেলতে চেয়েছিলেন নাঈম, তবে সেখানে থাকা তাসকিন আহমেদ ক্যাচ তালুবন্দি করে নাইমকে সাজঘরের পথ দেখান। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা নাঈম ফিরেন ৫ রানে।পরের ওভারে তিনে ব্যাট করতে নামা আল আমিনকে ফেরান তাসকিন। ডানহাতি এই বোলারের করা অফ স্টাম্পের বাইরের বল মোকাবিলা করতে গিয়ে উইকেটকিপারের হাতে তুলে দেন আল আমিন। এরপর ফেরেন সাব্বির। তিন উইকেট হারানোর পর মুশফিকের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ইয়াসির রাব্বি। এই জুটিতে ৫০ রান তোলে ঢাকা। চতুর্থ উইকেটে ভালোভাবেই এগুচ্ছিলেন দুজন। কিন্তু লড়াই জমিয়ে তোলার আগেই এই জুটি ভাঙেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। ১২.৪ ওভারে রাব্বির করা অফ স্টাম্পের বাইরের বল ঠেকিয়ে একরান নিতে চেয়েছেন মুশফিক। কিন্তু নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে থামিয়ে দেন রাব্বি। চার বাউন্ডারি এক ছক্কায় ৩০ বলে ৪৩ রানে ফেরেন ঢাকার অধিনায়ক। টিকতে পারেননি আকবর আলীও। ২১ রানে আকবরকে বিদায় করেন মিরাজ। গ্রুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যানদের হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ইয়াসিরের ব্যাটে চড়ে ১৫০ রান সংগ্রহ করে বেক্সিমকো ঢাকা। এই ম্যাচের জয়ী দল উঠবে কোয়ালিফায়ার রাউন্ডে। আর হারলে আজই বিদায় নিতে হবে টুর্নামেন্ট থেকে।দিনের আরেক ম্যাচে প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হবে আসরের জেমকন খুলনা ও গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। ওই ম্যাচের জয়ী দল সরাসরি খেলবে ফাইনালে। আর পরাজিত দল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলে ফাইনালে যাওয়ার আরেকটি সুযোগ পাবে। ম্যাচটি মাঠে গড়াবে বিকেল সাড়ে ৪টায়। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার হবে আগামী ১৫ ডিসেম্বর। ১৮ ডিসেম্বর হবে ফাইনাল।
পারলেন না তামিম, চাপ বাড়ছে বরিশালের
0
Share.