ডেস্ক রিপোর্ট: একটি অধিকার গ্রুপ জানিয়েছে, গত নয় মাসে সিঙ্গাপুরের অভিবাসী কর্মীদের প্রায় অর্ধেক করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল। তবে এমন তথ্যে তারা ‘অবাক হয়নি’ বলে জানিয়েছে দাতব্য সংস্থা ট্রানসিয়েন্ট ওয়ার্কার্স কাউন্ট টু (টিডব্লিউসিটু)। নতুন এক উপাত্তে জানা গেছে, এক লাখ ৫২ হাজার বিদেশি কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল। এই সংখ্যাটা দেশটিতে অবস্থানরত বিদেশি কর্মীর ৪৭ শতাংশ। অভিবাসী কর্মীর সংখ্যা না গুণেই এর আগে সিঙ্গাপুর জানিয়েছিল যে, দেশটিতে চার হাজারের কম বিদেশি কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এসব কর্মীদের অধিকাংশই বড় ডরমিটরিতে বাস করে। সেখানে একটি রুমে বেশ কয়েকজন গাদাগাদি করে থাকে। দেশটিতে এপ্রিল মাসে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকলে সিঙ্গাপুরের মূল জনগোষ্ঠীর বাইরে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয় বিদেশি কর্মীদের। তবে গত কয়েক মাস ধরে সাধারণ জনগোষ্ঠী এবং অভিবাসী শ্রমিকদের ডরমিটরিতে করোনার সংক্রমণ প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। এমতাবস্থায় সাধারণ জনগোষ্ঠীর জন্য করোনার জন্য আরোপিত বিধিনিষেধ আরও শিথিলের ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে সিঙ্গাপুরের বিদেশি কর্মী বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার অল্প মজুরির অভিবাসী শ্রমিক, যারা মূলত নির্মাণ ও উত্পাদন খাতে কাজ করে, তারা এখনও বিধিনিষেধ মেনে চলতে হচ্ছে। তাদের ওপর থেকে বিধিনিষেধ আগামী বছর থেকে ধীরে ধীরে তুলে নেয়া হবে। টিডব্লিউসিটু’র অ্যালেক্স আউ বলেছেন, সিঙ্গাপুরের জন্য প্রবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে কারাবন্দিদের মতো আচরণ করার কোনও যৌক্তিকতা নেই। অনেককে আট মাস ধরে আটকে রাখা হয়েছে।
করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল সিঙ্গাপুরের অর্ধেক অভিবাসী কর্মী
0
Share.