ডেস্ক রিপোর্ট: দেশে বর্তমানে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৪২.০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। একে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য এক অনন্য রেকর্ড বলে অভিহিত করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, এটি দেশবাসীকে মহান বিজয় দিবসের উপহার। এজন্য তিনি প্রবাসী শ্রমিকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, রিজার্ভের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধিতে গুরূত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে রেমিট্যান্সের অন্তপ্রবাহ। অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনার মধ্যে প্রতিকূল পরিবেশে থেকেও নিয়মিত রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে প্রবাসীরা। কঠিন সময়ে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী করেছে। অর্থনীতির চাকাকে বেগবান রাখতে বড় অবদান রাখছে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স।গতকাল মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেও শুধু ডিসেম্বরের ১৪ দিনে ১.০৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে প্রবাসীরা। গত অর্থবছরের ঠিক এই সময়ে যা ছিল ৮৬৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। জুলাই-নভেম্বর পাঁচ মাসে মোট ১০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল। ২০২০-২১ অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে মোট প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স এসেছে দেশে। প্রবাসী আয়ের এ ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকার জন্য সরকারের সময়োপযোগী দুই শতাংশ নগদ প্রণোদনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের ইতিহাসে এ যাবৎকালের মধ্যে সর্ব্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪২.০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।গত এক বছরে রিজার্ভ বেড়েছে এক হাজার কোটি ডলারের বেশি। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। গত ২৯ অক্টোবর তা প্রথমবারের মতো ৪১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। এবং মাত্র দেড় মাসের ব্যবধানে তা দাঁড়িয়েছে ৪২.০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেকর্ডে।এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪২.০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আমাদের জন্য অত্যন্ত সুখবর। এটি দেশের ইতিহাসে বিরল ঘটনা। বিজয় দিবসের প্রাক্কালে এ ঘটনা অবশ্যই জাতির জন্য একটি উপহার।
রেকর্ড রিজার্ভ এবারের বিজয় দিবসের উপহার
0
Share.