মাদকের নেশার টাকা না পেয়ে পলাশবাড়ীতে ছেলের হাতে বাবা খুন!!

0

বাংলাদেশ থেকে গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: মাদকের নেশার টাকা না দেওয়ায় মাদকসক্ত ছেলের ছাদেকুল ইসলামের হাতের ছুরিকাঘাতে বাবা শফিউল ইসলাম (৬০) নামে এক ব্যক্তি মৃত্যু হয়েছে । এ ঘটনাটি ঘটেছে ১৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের রওশনবাগ বাজার এলাকায়। নিহত শফিউল ইসলামের বাড়ি রওশনবাগ বাজারের পাশে কৃষ্ণপুর গ্রামে।এ ঘটনায় স্থানীয়দের সহযোগীতায় ঘাতক ছেলে ছাদেকুল ইসলাম কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । গ্রেফতারকৃত ছাদেকুল ইসলাম গাজা ও ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকে আসক্ত বলে জানায় স্থানীয়রা। স্থানীয়রা জানান, ছাদেকুল মাদকাসক্ত ছিলেন। মাদকের নেশার টাকা না পেয়ে প্রায়ই সে পরিবারের সদস্যদের মারধর করতো।মাদকে আসক্ত ছেলে কে বার বার ভালো করার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে পরিবার বৃহস্পতিবার বিকেলে বাবা শফিকুল ইসলামের নিকট ছেলে ছাদেকুল নেশার টাকা চেয়ে না পেয়ে ক্ষিপ্ত হন । পরে সন্ধ্যায় বাবা শফিউল বাড়ির পাশে রওশনবাগ বাজারে যান তখন ছাদেকুল পেছন থেকে এসে বাবা শফিউলের গলা ধরে পেটে-বুকে উপুর্যপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান।এরপর তার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা বাবা শফিউলকে গুরুতর আহতবস্থায় উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালে নেওয়ার পথিমধ্যে তিনি মারা যান।এদিকে, বাজারের লোকজন মোটর সাইকেল নিয়ে পিছনে ধাওয়া করে ঘাতক মাদকাসক্ত ছেলে ছাদেকুল ইসলামকে আটক করে। পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান স্থানীয় সাংবাদিকদের এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্য, পলাশবাড়ী উপজেলার ৮ ও ৯ নং ইউনিয়ন যে ইউনিয়নটি গাইবান্ধা জেলার গাইবান্ধা সদর উপজেলার উত্তরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা দক্ষিণে সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা পূর্বে । জেলার চারিদিকে যেমন হয় তেমনি আছে তবে এলাকায় মোবাইলে,টিভিতে ক্রিকেট জুয়ার এখন নিত্যদিনে ঘটনা । পুলিশের চলমান তৎপরতার মাঝেও মাদক কারবারিরা থেমে নেই। ইয়াবা ,গাজা,ফেন্সিডিল.হিরোইনসহ যে কোন নেশা টাকা হলে মেলে। মাদক নিয়ন্ত্রন করার কথা বলা হচ্ছে কিন্তু তা কিন্তু আজও নিয়ন্ত্রনে নেই নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা অব্যহৃত রয়েছে রাষ্ট্রের। মাদক এখন গ্রাম গঞ্জে যুবকদের হাতে পৌছে গেছে। জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার অনাকাংখিত বিভিন্ন গ্রামে হতে কিছু মাদক একাধিক বার আটক করে পুলিশ। কিছু কিছু ওষুধের  দোকানের ওষুধ এখন মাদক হিসাবে ব্যবহার হয়। এছাড়াও যত্রতত্র পাওয়ার ড্রিংক্স সিরাপ হাত , সেক্স সংক্রান্ত নানা ট্যবেলেট এখন নেশার সামগ্রী হিসাবে ব্যবহার হয় । জুতার আটাও যখন মাদকের ড্যান্ডি হয়। তখন কেমন বিপদ সামনে বুঝতে আর বাকি নেই । পারিবারিক ও সামাজিক জনসচেতনতা কেবল আমাদের বাচাতে পারে। বাচতে পারে আপনার পাশে থাকা পরিবারটি । আপনার সমাজে আপনার একটি পরিবারও যেন বিপদগ্রস্ত না হয় সে দায়িত্ব অবশ্যই আপনার নইলে আপনি তার মতোই অপরাধি হিসাবে গণ্য
হবেন। আসলে নিজে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি অন্যকেও সচেতন করতে হবে । স্বাধীনতার সম্মান আমদের রক্ষা করতে হবে। যে রাষ্ট্রে নাগরিক যথ বেশী সচেতন ও দায়িত্বশীল সেই রাষ্ট্র তত বেশী উন্নত । আমাদের প্রত্যকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি দায়িত্বশীল হওয়ারো প্রয়োজন রয়েছে ।রাষ্ট্রের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও দায়িত্বশীল হয়ে সকলে যদি নিজ নিজ অবস্থান হতে সচেতন হই অপরাধ মুক্ত সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে । এ ভাবেই আমাদের দেশটা কে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি আমার বাঙ্গালীরা ।

Share.