বাংলাদেশ থেকে গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি : গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী সাদুল্লাপুর আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক জননেতা এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আওয়ামলীগের সভাপতি ও দলীয় ফোরামে বিভিন্ন মিথ্যা ও হয়রানী মুলক অভিযোগ দায়ের করার ফলে পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুর উপজেলার ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বর্তমান সময়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের হস্তক্ষেপে দীর্ঘ সময় পরে হওয়া ঐক্যবদ্ধ দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে দারুন ভাবে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে । পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে । একারণে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে নানা ভাবে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে চলছে দারুন এক অস্থিরতা। নানা দোষ ও অভিযোগের গুজব ওঠায় যে কোন সময় ঘটতে পারে অনাকাংখিত ঘটনা । জানা যায়, গত ১০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার প্রথম দফায় পলাশবাড়ী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর পরাজয়ের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপির কে দোষারোপ করে দলীয় ফোরামে অভিযোগ তুলেছেন । পরাজিত আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু বকর প্রধান । তিনি ও তাহার কর্মী সমর্থকগণ মনে করেন স্থানীয় এমপি হিসাবে তিনি নির্বাচিত স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর গোলাম সরোয়ার প্রধান বিপ্লবের পক্ষে অবস্থান করায় আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থীর পৌর নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে । এ ঘটনাটির সত্যতা যাচাইয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদরে হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপির উপস্থিতিতে গাইবান্ধা জেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় একটি দলীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে । উক্ত কমিটির তদন্ত রিপোট প্রদানের আগেই কোন অভিযোগ নয় পরাজিত প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু বকর প্রধান দলীয় বিভিন্ন ফোরামে নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ উল্লেখ করে লিখিত ভাবে তাহার বক্তব্য প্রেরণ করেছেন বলে জানান উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ শামিকুল ইসলাম লিপন । নতুন করে আর কোন অভিযোগ দায়ের বিষয়টি মিথ্যা ও গুজব বলে দাবী করেন তিনি। পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের ও অঙ্গসযোগী সংগঠনের একাধিক প্রবীন ও নবীন নেতাকর্মীরা বলেন, বিগত সময়ে চাইতে বর্তমান দলীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড . উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি উপজেলা গুটি কয়েক নেতা বান্ধন না হয়ে তৃণমুলের নেতা ও কর্মী বান্ধব এমপি হওয়ায় ক্ষিপ্ত সুযোগ সন্ধানী উপজেলা আওযামীলীগের একাধিক নেতাগণ নানা ভাবে তাকে হেয় ও হয়রানি করতে উঠে পড়ে লেগেছেন। এঘটনায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মাঝে যেমন হতাশা সৃষ্টি হয়েছে তেমনি সৃষ্টি হয়েছে ক্ষোভ ও অস্থিরতা । তারা মনে করেন দলের মধ্যে বিভাজন ও কাদা ছোড়া ছুড়ি বন্ধ করতে এখনি দলীয় ভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন।
তারা আরো বলেন বিগত সময় গুলোতে ৪ বারের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সভাপতি হিসাবে দুই যুগের উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রধান দুটি পদের মধ্যে টানা একটিতে দায়িত্বে থাকলেও তিনি জনবান্ধব ব্যক্তি হিসাবে নিজের অবস্থান গড়ে তুলতে বা সংগঠনকে গড়ে তুলতে পারেনি। যে কারণের ১১ সালে পরবর্তীতে সাংগঠনিক দূর্বলতার কারণে এ উপজেলায় জামাত বিএনপি তান্ডব চালিয়েছে বিগত ২০১৬ সাল পর্যন্ত । এরপর আইনশৃংখলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে এ উপজেলায় জামাত বিএনপি কে নানা ভাবে দমানো সম্ভব হয়েছে । যেখানে সংগঠনের ভূমিকা শূন্য। এছাড়াও বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের অবস্থাও যে খুব একটা ভালো তাও নয়। সংগঠন রয়েছে সাংগঠনিক কমিটিও রয়েছে তবে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করার চেয়ে বিভক্ত করাই যেন বর্তমান তিন নেতাদের রাজনৈতিক কর্মকান্ড হিসাবে দায়িত্ব হয়ে পড়েছে। আর এ কারণ গুলোতে পলাশবাড়ী উপজেলা জুড়ে দলীয় অবস্থান শক্তি শালী না হয়ে আরো বেশী দূর্বল হয়ে পড়েছে। দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি ভরসাশীল না হয়ে তারা আমলা তান্ত্রিক শক্তির উপর নিভরশীল হয়ে পড়েছেন। পলাশবাড়ী তে আওয়ামীলীগের দলীয় অবস্থা কতটা দূর্বল অবস্থা তার প্রমাণ পৌর নির্বাচনে নৌকা মনোনীত মেয়র প্রার্থী পরাজয় ও পৌর এলাকার ৯ টি ওয়ার্ডে মধ্যে মাত্র ২ টি ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগ দলীয় সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী জয়লাভ করেছেন বাকি ৭ টি ওয়ার্ডে ও সংরক্ষিত তিন টি ওয়ার্ডে প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে ব্যাপক ভাবে । দল ও প্রতিকে প্রতি মানুষের বিশ্বাস ও ভালোবাসা আগের অবস্থানে থাকায় ও প্রার্থীর রাজনৈতিক আর্দশ সাধারণ মানুষ সহ নেতাকর্মীদের নিকট পরিস্কার হওয়ায় বর্তমান সময়ে নৌকা মনোনীত মেয়র প্রার্থী এমন পরাজয় হয়েছে। এবং পৌর শহরের প্রানকেন্দ্রে একটি ওয়ার্ডে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আলী রেজা মোস্তফা গোলাপ কাউন্সিলর প্রার্থী হলেও তারো একই ভরাডুবি হয়েছে ব্যাপক ভাবে।
তারা আরো জানান ,গত ২২/৪/২০১২ ইং তারিখে আবু বকর প্রধানে হাত কাটার ঘটনাটি কোন রাজনৈতিক কারণে নয়। এটি পলাশবাড়ী সদরে জামাত নিয়ন্ত্রিত গৃধারীপুর আর্দশ দাখিল মাদ্রাসা কে ঘিরে ঘটেছিলো। এ মাদ্রাসাটিতে ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে জামায়াতের মধ্যে দুটি পক্ষ ছিলো এই পক্ষ দুটির নিকট আর্থিক সুবিধা নিয়ে তিনি একটি পক্ষকে উক্ত মাদ্রাসায় প্রতিষ্ঠিত করেন। এবং উক্ত মাদ্রাসায় ম্যানেজিং কমিটি গঠন করার পরে প্রতিপক্ষের একজন ব্যক্তিকে চাকুরী পাইয়ে দেওয়ার নামে আবারো মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয় এবং জামায়াতের উভয় পক্ষকে সন্তুষ্ট করার অপকৌশল গ্রহন করার ফলশ্রুতিতে উভয় পক্ষের রোষানালে পতিত হন তিনি। এরমধ্যে উপরোক্ত তারিখে ৪ দলীয় বিএনপি জামায়াত জোট আহুত হরতাল কর্মসূচীর প্রতিবাদে উপজেলা ছাত্রলীগের মিছিল শেষে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপজেলা আওয়ামীলীগের তৎকালিন সাধারণ সম্পাদক আবু বকর প্রধান কে ও জামায়াত নেতা রমজান আলীকে একান্ত বৈঠকরত অবস্থায় দেখে উভয়কে গালিগালাজ করেন। এমন সময় উক্ত জামায়াত নেতা রমজান আলী নেতা নিজেকে উদ্ধারের জন্য প্রশিক্ষিত জামাত ক্যাডারদের খবর দেন এমন খবরে সেই মাদ্রাসা পরিচালনার কমিটির প্রতিপক্ষ সেই উত্তম সময় কে কাজে লাগিয়ে আবু বকর প্রধান এর হাতের একটি আঙ্গুল এক চোটে কেটে ফেলে প্রতারণার ও অপকৌশলের প্রতিশোধ গ্রহন করেন। যেটি কোন আওয়ামীলীগ বনাম বিএনপি জামায়াতের কোন রাজনৈতিক সংঘর্ষ ছিলো না ।এটি ছিলো পূর্ব রেষারেশির একটি সন্ত্রাসী ঘটনা। আবু বকর প্রধানের জামায়াত প্রীতির অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিফল ছিলো সেই হাত কাটার ঘটনা। উল্লেখ্য,গৃধারীপুর দাখিল মাদ্রাসা এর ম্যানেজিং কমিটির একটি পক্ষের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন সে সময়ে জামায়াত ক্যাডার হিসাবে পরিচিত ও বর্তমান বিভাগীয় জামাতের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা হিসাবে খ্যাত আবু বকর প্রধানের হাত কাটার ঘটনার মামলার ১ নং আসামী প্রভাষক গোলাম মোস্তফা এর আপন বড় ভাই শাহ আলম । প্রভাষক গোলাম মোস্তফা গোলাম বিশেষ ভাবে বাছাইকৃত জামায়াতের প্রয়াত আমীর গোলাম আযমের এর নিরাপত্তাকর্মীদের একজন ছিলেন। আরো জানা যায়,এরপর উক্ত ঘটনায় তৎকালিন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন সরকার বাদী হয়ে পলাশবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন যে মামলার নং – ১২২/১২। গত ৩০/০৭/২০১২ তারিখে এ মামলায় ২২ জন কে আসামী হিসাবে চিহিৃন্ত করে বিজ্ঞ আদালতে মামলাটির চুড়ান্ত চার্জশীট দাখিল করেন পুলিশ। এর পর বিজ্ঞ আদালতে বিচার কার্যশুরু করা হলেও স্বাক্ষীদের আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় বিচার কাজের বিঘœতা হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত বাদী ও সাক্ষিদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে উপস্থিত করার জন্য গত ১৯/৪/২০১৫ ইং তারিখে পলাশবাড়ী থানার ওসি ও গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের প্রতি সমন ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন। কিন্তু এরপরেও তারা আদালতে সাক্ষি দিতে জাননি। এরপরে গত বছর ২০১৯ সালের ৪/২/২০১৯ ইং তারিখে সাক্ষি উপস্থিত করণার্থে প্রথম ওয়ারেন্ট ইস্য করেন। এরপরেও মামলার বাদী ও সাক্ষিগণ এবং মামলাটির অন্যতম সাক্ষি ভিকটিম আবু বকর প্রধান নিজেও কখনো বিজ্ঞ আদালতে উপস্থিত হননি। এ বিষয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীরা দাবী করে বলেন আদালতের তথ্য ও রাজনৈতিক ফোরামে আলাপ চারিতায় জানা যায় বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু বকর প্রধানের জামাত প্রীতির অংশ হিসাবে গোপনে উক্ত মামলার আসামীদের সাথে মোটা অংকের আর্থিক লেনদেন এর মাধ্যমে আসামীদের সাথে যোগসাজস করে মামলাটিতে সাক্ষি প্রদান করেনি আবু বকর প্রধান সহ অন্যান্য সাক্ষিগণসহ মামলার বাদী। এরপর মামলাটি একতরফা ভাবে খারিজ করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে দাবী করেন বর্তমান আওয়ামীলীগের প্রবীন ও নবীন নেতা কর্মীরা। উক্ত মামলাটি গোপনে জামাত বিএনপির সাথে আতাত করার ফলে মামলাটি বিচারের মুখ না দেখায় সেই হতে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে বিভ্রান্তি ক্ষোভ ও হীন মন্যতা তৈরী হওয়ায় ক্ষমতাসীন সময়েও দলের স্থানীয় রাজনৈতিক শক্তি দূর্বল ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পরে। আরো জানা যায়, হাত কাটার ঘটনায় সে সময়ে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী নজরুল ইসলাম লেবু মাওলানার নিকট হতে চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা গ্রহন করতে একটু দ্বিধান্বিত হননি। যে কর্মকান্ডটি দলীয় নেতাকর্মীদের আরো বেশী দূর্বল করার মূল কারণ হিসাবে মনে করেন দলীয় নেতাকর্মীগণ। তারা আরো দাবী করেন বর্তমান সময়ে উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আবু বকর প্রধান হাত কাটার ঘটনাটি রাজনৈতি রোষানলে দাবী করে সরকারি সুবিধাসহ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সকল পর্যায়ে হাত কাটা স্থান প্রর্দশন করে ফায়দা হাসিলের পাশাপাশি সহানুভূতি হাসিলে মত্ত হয়ে পড়েন এবং হাত কাটা ঘটনাটি বিএনপি জামাতের রাজনৈতিক রোষানলে দাবী করে পৌর নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতিক নৌকা মার্কা হাসিল করেন। কেন্দ্রীয় কমিটির নিকট অনুকম্পা হাসিল করতে পারলেও ব্যক্তি হিসাবে স্থানীয় ভাবে জনসমর্থন না পাওয়ায় তার পরাজয়ের মূল কারণ বলে মনে করেন নেতাকর্মীরা।
এদিকে পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের একাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ দাবী করেন বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু বকর প্রধানের বাবা প্রয়াত রজ্জব আলী প্রধান ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক বাহিনী কে সহায়তা ও লুটতরাজ করার জন্য অভিযুক্ত হলে দুটি গরুসহ উদ্ধার করে সেসময়ে পলাশবাড়ী থানা সোর্পদ করা হয়েছিলো সেই ঘটনার প্রত্যক্ষসাক্ষি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদশা মিয়া । অন্যদিকে পলাশবাড়ী পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থীর পরাজয়ের কারণ অনসন্ধানে তদন্ত কমিটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সদস্য বলেন,গত ২২ ডিসেম্বর জেলা কমিটির বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এর নির্দেশক্রমে দলীয় ভাবে উপরোক্ত বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে । তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে । তদন্ত শেষে দলীয় ফোরামে রির্পোট প্রদান করা হবে । এর আগে কেই যদি অন্য কোথায় অভিযোগ দায়ের করে তবে সেটাও দলীয় সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাগুলি দেখানোর মতো হবে। পৌর নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পরাজয়ের কারণ অনুসন্ধানে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ একাধিক নেতাকর্মীদের অবস্থান ও চিহিৃন্ত করণে তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে অভিযোগের এবিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক বলেন ,এঘটনায় তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে এরবাহিরে কেউ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সম্পাদক কোথায় অভিযোগ করেছে কিনা সেটা সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের সাথে কথা বলে এবিষয়ে জেনে নিতে বলেন।তবে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু বকর প্রধান বলেন,গাইবান্ধা জেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় বক্তব্য প্রদান কালে উপস্থিত কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদকের নির্দেশক্রমে পৌর নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ উল্লেখ করে লিখিত ভাবে জানাতে বলায় । সেই আলোকে আমার বক্তব্য লিখিত ভাবে দলীয় ফোরামে প্রদান করা হয়েছে। এর বাহিরে কোন অভিযোগ কোথা দেওয়া হয়নি । তদন্ত কার্যক্রম চলাকালে নতুন করে কোথাও অভিযোগ দায়ের বিষয়টি মিথ্যা ও ভিক্তিহীন ।
এবিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি বলেন, পৌর নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পরাজয়ের বিষয়ে আমাকে মিথ্যা দোষারোপ করায় গত ২১ ডিসেম্বর পলাশবাড়ী পিয়ারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের আমার উদ্যোগে উপজেলা , ইউনিয়ন, ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের নিয়ে পলাশবাড়ী নির্বাচন পরবর্তী মতবিনিময় সভায় দলীয় নেতাকর্মী,স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ,শিক্ষক সমিতি নেতৃবৃন্দ,পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ তাদের মতামত প্রদান করেন তারা কেউ নির্বাচনে আমার কোন দোষ ধরতে বা বলতে পারেনি। তবে নেতকর্মীরা এসময় দাবী করেন পৌর নির্বাচনে প্রার্থী স্থানীয় পৌর বাসিন্দা না হওয়ায় এবং জনসমর্থণ না থাকায় ও নির্বাচনী কার্যক্রমে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করতে না পাড়ায় আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর পরাজয় হয়েছে । এদিকে পরাজয়ে গ্লানি মেনে নিতে না পারায় ও নিজেদের দোষ গুলো ধামাচাপা দিতে এবং দলীয় ও স্থানীয় মানুষের নজর অন্যদিকে ফেরাতে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ একটি মহল আমাকে দলীয় ফোরামে ও বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট দোষারোপ করে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে গভীর ষরযন্ত্র করছে। আমাকে হেয় করতে উঠে পরে লেগেছে যা অত্যান্ত দূংখজনক ঘটনা। তবে আমার ভূমিকা যদি সঠিক থাকে তাহলে এসব ষরযন্ত্রকারীরা যত চেষ্টাই করুক কোন ভাবে সফল হবে না।