ডেস্ক রিপোর্ট: লাগাতার তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত স্পেন। তুষারপাত ভেঙে দিয়েছে গত ৫০ বছরের রেকর্ড। বৃহস্পতিবার মাঝরাত থেকে শুরু হওয়া তুষারপাতে ঢাকা পড়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। তুষারঝড় ফিলোমেনায় এখনও পর্যন্ত চারজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। সমস্ত পরিবহণ থমকে যাওয়ায় স্টেশন, বিমানবন্দর, গাড়ির ভিতরে আটকে রয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।রাজধানী মাদ্রিদসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে জারি রয়েছে জরুরি অবস্থা। কোথাও কোথাও তিন ফুটেরও বেশি বরফের স্তর জমে গিয়েছে।স্পেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মাদ্রিদে বরফের স্তূপের নিচ থেকে এক ৫৪ বছরের এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এদিকে জারাগোজা শহরে শৈত্যের কবলে পড়ে এক গৃহহীনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ সূত্র।পাশাপাশি, ফুয়েঞ্জিরোলা শহরে নদীর জলের তোড় ভাসিয়ে নিয়ে যায় এক দম্পতিকে। গাড়ির মধ্যে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।এই পরিস্থিতিতে রেড এলার্ট জারি করেছে সরকার। গত চল্লিশ বছর আগে থেকে এই সতর্ককীকরণের ব্যবস্থা নেওয়া হলেও এতদিন তা প্রয়োগ করার দরকারই পড়েনি। এমন নজিরবিহীন পরিস্থিতিতে ঝড়ে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করতে সেনার সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।এরই মধ্যে আরও বিপদের আশঙ্কা করছেন দেশের পরিবহণ মন্ত্রী জোস লুইস বালোস। তার কথায়, ‘তুষার এবার বরফে পরিণত হবে। ফলে এই মুহূর্তের যা অবস্থা, তার থেকেও আরও খারাপ হতে পারে পরিস্থিতি। আমাদের পূর্বাভাসকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে ঝড়ের তীব্রতা।’ এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে যাতে খাদ্য ও অন্যান্য জরুরি পরিষেবায় কোনো ছেদ না পড়ে সেদিকে নজর রাখার দিকে জোর দিয়েছেন তিনি।
তবে এরই মধ্যে তুষারপাতের আনন্দে মেতে উঠতে দেখা গিয়েছে অনেককেই। মাদ্রিদের এক স্কি ক্লাবের কোচ লুকা ভালস জানাচ্ছেন, প্রতি বছরই তিনি তার সঙ্গীদের সঙ্গে ফারাওয়ে পাহাড়ের উপরে যান স্কি করতে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি অভাবনীয়। বলতে গেলে বরফ এখন একেবারে দোরগোড়ায়। সে কথা জানাতে গিয়ে তিনি কার্যত উল্লসিত, ‘এমনটা অভাবনীয়। দারুণ উপহার! এর আগে কখনও বরফের সামনে দাঁড়িয়ে এত ছবি তুলিনি।’