ডেস্ক রিপোর্ট: রাশিয়ার সাইবেরিয়া অঞ্চলের নোরিলেস্ক শহরে ভয়াবহ তুষারধসে একই পরিবারের শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বরফে চাপা পড়ে গুরুতর আহত অবস্থায় কিশোরসহ বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও কেউ বরফের নিচে চাপা পড়ে থাকতে পারে এমন আশঙ্কায় সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারী দরের সদস্যরা। এদিকে, তাপমাত্রা হিমাঙ্কের অনেক নিচে অবস্থান করায় দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে বসনিয়ার শরণার্থী শিবিরের আশ্রয় নেয়া অভিবাসীদেরও। ফ্যাকাসে বসনিয়ার চারপাশ, দেখা নেই সূর্যের। দিনের পর দিন তুষারেই ঢেকে আছে বিহাক অঞ্চল। আধপেটা খাবার জোটে বড়জোড়, নেই পর্যাপ্ত শীতের কাপড়। পথঘাট, গাছপালা, ছাদে জমেছে বরফ, যেকোন সময় ভেঙে পড়তে পারে তাঁবু, এমন আতঙ্ক নিয়েও হাড় কাঁপানো শীতে বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন লিপা আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করা শরণার্থীরা। তারা বলেন, ‘বহুদিন থেকে আমরা কেউ গোসল করি না। এখানে বিদ্যুৎ নেই। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বিহাকের বাসিন্দাদের অনুরোধ করছি, আমাদের সাহায্য করুন। আমরা খুবই কষ্টে রয়েছি এখানে।’ বেশ কয়েকদিন থেকে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে অবস্থান করায় তুষারপাত অব্যাহত রয়েছে জার্মানির হ্যালেনথাল অঞ্চলেও। বরফ জমে যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে ওঠায় বেশ কিছু রাস্তা বন্ধ রয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসিন্দাদের বাসা থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। তবে বাসিন্দাদের অনেকে আবার বেরিয়ে পড়ছেন তুষারপাত উপভোগে।স্থানীয় এক নিরাপত্তা কর্মী জানান, আমরা বারবার বাসিন্দাদের অনুরোধ করছি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যাতে কেউ বাসার বাইরে না বের হয়। নিরাপত্তার জন্যই কিছু কিছু রাস্তা বন্ধ রাখা হয়েছে। তারপরও কেউ কেউ না জেনেই এ রাস্তায় চলে আসছেন। আমরা তাদের ফিরিয়ে দিচ্ছি। এদিকে নজিরবিহীন তুষারপাতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে স্পেনের প্রায় অর্ধেক অঞ্চল। তুষারঝড় ফিলোমেনার প্রভাবে বিপর্যস্ত জনজীবন। এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মাদ্রিদসহ বিভিন্ন শহরে জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে মেট্রোরেল ছাড়া সব গণপরিবহন। মাদ্রিদে গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয় হালকা তুষারপাত। কিন্তু মাত্র দুদিনের মাথায় তা ভয়ংকর আকার ধারণ করে। স্থানীয়রা বলছেন, মাদ্রিদের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় তুষারপাত। গত তিনদিন চলা তুষারপাত বন্ধ হয়নি ক্ষণিকের জন্যও। এতে মাদ্রিদের সমস্ত রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্দশা।তবে শত কষ্ট উপেক্ষা করে অনেকেই মেতে উঠেছেন তুষার আনন্দে। ইতিহাসে সবচেয়ে বড় তুষারপাত দেখার স্বাক্ষী হতে রাস্তায় নেমে আসেন তারা।তবে মাদ্রিদ কর্তৃপক্ষ ভ্রমণ এড়ানোর জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। স্পেনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের মতে, চলমান তুষারপাত আগামী রোববার পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
রাশিয়ায় তুষারধসে মৃত ৩, বিপর্যস্ত বসনিয়া-জার্মানি-স্পেনের জনজীবন
0
Share.