রফতানি হচ্ছে চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জের গুড়

0

ঢাকা অফিস: চূয়াডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী সরোজগঞ্জের খেজুর গুড়ের হাট জমে উঠেছে। চাহিদা বেশি হওয়ায় কৃষক তাদের উৎপাদিত গুড় নিয়ে আসছেন হাটে। স্বাদে ও গন্ধে গুড় অতুলনীয় হওয়ায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসেন বেপারিরা। প্রতি সপ্তাহে হাটে প্রায় দুই কোটি টাকার গুড় বিক্রি হয়। দেশে চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি করা হয়।জেলার সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজারে বসে দেশের ঐতিহ্যবাহী খেজুর গুড়ের হাট। সপ্তাহে সোমবার ও শুক্রবার হাট বসে। হাটে সারি সারি সাজানো থাকে গুড়ের ভাঁড়গুলো। গুড়ের স্বাদ, গন্ধ ও রং অতুলনীয়। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শত শত কৃষক, বেপারি ও শ্রমিকদের উপস্থিতিতে হাট এলাকা সরগরম থাকে। এক ভাঁড় গুড় আকার ভেদে বিক্রি হয় ৯০০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকায়। বেপারিরা নলেন ও ঝোলা গুড় দেখে দরদাম ঠিক করে ওজন দিয়ে ট্রাকে লোড করেন।গুড়ের হাটে সপ্তাহে ৩৭ ট্রাক গুড় কিনে নিয়ে যান দেশের বিভিন্ন জেলায় বেপারিরা। সপ্তাহে দুদিনে প্রায় ২ কোটি টাকার গুড় বিক্রি হয় হাটে। প্রতি মৌসুমে ২০ কোটি টাকার বেশি গুড় বেচাকেনা হয়।স্থানীয়রা জানান, এ হাটের গুড়ের মান ভালো। দাম বেশি হওয়ায় লাভও বেশি। ভেজালমুক্ত গুড় পাওয়া যায়। বিদেশেও গুড় রফতানি হচ্ছে।সরোজগঞ্জ বাজার কমিটি সভাপতি শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, এখানে প্রতি হাটে ২০০ মেট্রিক টন গুড় বিক্রি হয়। এ হাটটি অনেক পুরাতন। প্রতি সপ্তাহে জেলা থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় গুড় পাঠানো হয়।চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর উপপরিচালক আলি হাসান বলেন, এ পণ্যটাকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।জেলার চারটি উপজেলায় কয়েক হাজার কৃষক গুড় উৎপাদন করেন। প্রতি শীত মৌসুমে ২ লাখ ৫০ হাজার গাছ থেকে প্রায় আড়াই হাজার মেট্রিক টন গুড় উৎপাদিত হয়।

Share.