বাংলাদেশ থেকে রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে দুর্নীতিবাজ উল্লেখ করে সাত দিনের মধ্যে তাদের অপসারণের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি ক্রিয়াশিল ছাত্র সংগঠন। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি)দুপুরে বিশ্ববিদ্যায়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে ‘সন্ত্রাস ও দুর্নীতি বিরোধী ঐক্য’ ব্যানারে
আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে তারা এ দাবি জানায়। লিখিত বক্তব্যে তারা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে ২৫টি অনিয়ম ও দুর্নিতীর প্রমান পেয়েছে। এতে সংঘটিত বিভিন্ন প্রশাসনিক ও আর্থিক অনিয়মের জন্য উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে দায়ী করা হয়েছে। তাই
আমরা মনে করি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি এবং শিক্ষার গনতান্ত্রিক পরিবেশে বিঘœ ঘটেছে। তাই আগামী সাত দিনের মধ্যে তাদেরকে অপসারণ করতে হবে। নইলে রাবি বাঁচাও আন্দোলনে লাগাতার কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো।
লিখিত বক্তব্যে তারা আরও বলেন, সকল প্রকার নিয়োগ স্থগিত রাখা, গণতান্ত্রিক উপায়ে ভিসি, প্রো-ভিসি নির্বাচন করা, রাকসু ও রেজিস্ট্রার গ্রাজুয়েট নির্বাচনের মাধ্যমে পুর্ণাঙ্গ করে গনতান্ত্রিক ক্যাম্পাস নির্মাণ করা, বিশ্ববিদ্যালয়কে সকল স্থানীয় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত রাখতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলন, ছাত্র অধিকার পরিষদের
সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ ও দপ্তর সম্পাদক রাকিব হাসান, আবুল কালাম আজাদ সাধারণ শিক্ষার্থী।
প্রসঙ্গত তারা গত ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ‘অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র অধিকার পরিষদ ও রাকসু আন্দোলন মঞ্চ প্রশাসনের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছে।
রাবির উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে সাত দিনের আল্টিমেটাম
0
Share.