স্বাস্থ্য ডেস্ক: নিজের-ক্ষতি করার প্রবণতা আমাদের আশেপাশে অনেকের মধ্যে রয়েছে বলে ধারণা করা হয়, তবে নিজের ক্ষতি করতে চাওয়া বা সেলফ হার্ম কী এবং এটি কাটিয়ে উঠতে কী করা উচিত সে সম্পর্কে মানুষের তেমন ধারণা নেই। এক্ষেত্রে প্রথম দুটি প্রশ্ন হল নিজের ক্ষতি কারা করে এবং কেন করে? কিংস কলেজ লন্ডনের ইমপ্যাক্ট এবং এনগেজমেন্ট বিষয়ক গবেষক ডাঃ স্যালি মার্লো বিবিসি রেডিও ফোর’স হার্টিং-এ এই প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করে দেখেছেন যে এর কোন উত্তরই ধ্রুব বা শাশ্বত নয়।যখন নিজের-ক্ষতি সেলফ হার্ম প্রসঙ্গটি আসে তখন সমাজ খুব দ্রুত এর জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকে দোষারোপ করে, তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সেলফ হার্মের একটি অংশ মাত্র। মানুষ আরও অনেক কারণে নিজের ক্ষতি করে থাকে। এবং এই কারণগুলো জটিল। এই প্রবণতা যাদের আছে সমাজ যদি তাদের সমর্থন করতে চায় তাহলে ওইসব মানুষের শারীরিক ক্ষতগুলির বাইরে তাদের চরম দুর্দশার দিকটা বোঝার চেষ্টা করতে হবে। বিশেষ করে তাদের, যারা প্রায়ই নিজেদের আঘাত করার কথা ভাবেন।
নিজের ক্ষতি বা সেলফ হার্ম কি?
নিজের-ক্ষতি করতে চাওয়া কোন ধরণের মানসিক অসুস্থতা নয় এবং সেলফ হার্ম মানেই কেউ তার শরীর কেটে ফেলবে, এমন আচরণ নয়। যুক্তরাজ্যে নিজের ক্ষতি বলতে বোঝায় “ইচ্ছা করে বা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অথবা কারও কোন পরোয়া না করে নিজেকে বিষ দেয়া বা আঘাত করা।” এই ব্যাখ্যা নিয়ে আরও অনেক কিছু ভাবার আছে। প্রথমত, যে ব্যক্তি নিজের ক্ষতি করছে সেটি যেন দুর্ঘটনার কারণে না হয় সেটা যেন উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়, অর্থাৎ ইচ্ছা করে নিজের ক্ষতির চেষ্টা হয়। এমন অনেক কাজ রয়েছে যা সেলফ হার্ম সংজ্ঞার আওতায় পড়ে: যেমন কেউ বিষ খায়, হয়ত অতিরিক্ত ওষুধ খেয়ে অথবা বিষাক্ত কিছু খেয়ে সেটা করে। সেলফ হার্ম এর চাইতেও আরও বিস্তৃত। শরীরে কাটা-ছেড়া করে, নিজের চুল টেনে ছিঁড়ে আনা, শরীরের চামড়ায় আঁচড় কাটা বা চামড়া তুলে আনা, নিজেকে পোড়ানোর চেষ্টা অথবা এর চাইতেও সহিংস কোন কাজ যেমন দেয়ালে মাথা ঠোকা বা ঘুষি মারার কথা জানা যায়। পরিশেষে সংজ্ঞাটির ছোট একটি অংশ জুড়ে রয়েছে “প্রেরণা”, জীবন শেষ করে দেয়ার প্রেরণা।