ডেস্ক রিপোর্ট: সিঙ্গাপুরের সরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স আশা করছে, তারাই বিশ্বের প্রথম সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত এয়ারলাইন্স হবে। অর্থাৎ বিশ্বের যে কোনো এয়ারলাইন্সের তুলনায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আগে টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে। মার্কিন সংবাদ সংস্থা সিএনএন’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাইলট, গেট এজেন্ট, ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টসহ সংস্থাটির সঙ্গে জড়িত যাদের জনগণের সংস্পর্শে আসার সুযোগ রয়েছে তাদের প্রত্যেকেই বিনামূল্যে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হবে। দেশটির সরকার এই আশ্বাস দিয়েছে। সিঙ্গাপুর সরকার ফাইজারের টিকা কিনেছে। প্রতিজনের শরীরে এই টিকার দুই ডোজ দরকার হয়।সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গো ছুন ফং রোববার (১৮ জানুয়ারি) এক লিখিত বক্তব্যে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিমান পরিবহন সংস্থাকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার জন্য সিঙ্গাপুর সরকারকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, এতে বোঝা যায় এই পরিবহন সংস্থা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সিঙ্গাপুরের অর্থনীতিকে মহামারির হাত থেকে বাঁচাতে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে গেছি। এরই মধ্যে এয়ারলাইন্সটির ৫ হাজার ২শ’ জনের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। শিগগিরই তাদের টিকা দেওয়া শুরু হবে। সিঙ্গাপুরের পরিবহন মন্ত্রী ওং ই কুং’র সঙ্গে ফং-ও এরই মধ্যে তার দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন এবং তিনি জানিয়েছেন সব কিছু ঠিকঠাক আছে। গত বছর করোনা সংক্রমণের শুরুতেই সিঙ্গাপুর আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বন্ধ করে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে কঠোর ও সফল পদক্ষেপ নিয়েছিল। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য মোতাবেক, সিঙ্গাপুরে ৫৯ হাজার ১১৩ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছে এবং এই ভাইরাসের কারণে মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের। দেশটির নাগরিকরা ভ্রমণে খুবই আগ্রহী হয়ে আছে। হংকংয়ের সঙ্গে বিশেষ বিধিবিধান মেনে বিমান চলাচল সচল রাখলেও গত ডিসেম্বর হংকংয়ে করোনার তাণ্ডব বাড়তে থাকায় এই যোগাযোগও বন্ধ করে দেয় সিঙ্গাপুর সরকার। হেনলি পাসপোর্ট সূচক মতে, সিঙ্গারপুরের পাসপোর্ট ২য় শীর্ষ শক্তিশালী। প্রথমে রয়েছে জাপান। স্বাভাবিক সময়ে সিঙ্গাপুরের নাগরিকরা বিনা ভিসায় ১৯০টি দেশে ভ্রমণ করতে পারে।
‘করোনার টিকা নেওয়া প্রথম বিমান সংস্থা হবে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স’
0
Share.