ডেস্ক রিপোর্ট: চার বছর ক্ষমতায় থাকাকালে ৩০ হাজার ৫৭৩টি অসত্য ও বিভ্রান্তিকর দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এসবের প্রায় অর্ধেকই আবার মেয়াদের শেষ বছরে। ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্টের অভিষেক দিন থেকেই অর্থাৎ ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর কথা বলার শুরু থেকেই সত্যের ওপর আঘাতের সূচনা ঘটে। সামান্য থেকে শুরু করে অতি গুরুত্বপূর্ণ—সব বিষয়ে দিনের পর দিন, সপ্তার পর সপ্তাহ এমনটি চলতে থাকে।সময়ে সময়ে ট্রাম্পের অসততা নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টের ‘ফ্যাক্ট চেকার’ গ্লেন কেসলার একটি ডাটাবেজ তৈরি করেছেন। তাতে দেখা গেছে, প্রথম বছর গড়ে প্রতিদিন ছয়টি ভুল দাবি করেন ট্রাম্প। পরে তা বেড়ে দ্বিতীয় বছরে ১৬টি, তৃতীয় বছরে ২২টি ও চতুর্থ বছরে ৩৯টিতে গিয়ে ঠেকে। প্রথম ২৭ মাসে ১০ হাজার ভুল বা সন্দেহজনক দাবি করেন রিপাবলিকান এই নেতা। পরে ১৪ মাসের মধ্যে এ সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়ায়। ট্রাম্প কোনো সমস্যায় পড়লেই সমর্থকদের কাছে বিকল্প একটা গল্প হাজির করতেন। যা তা বলে শত্রুদের আক্রমণ করতেন।গত অক্টোবরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে অন্তত ছয়দিন নিশ্চুপ ছিলেন ট্রাম্প। এই করোনা নিয়ে প্রায় চার হাজার মিথ্যা ও সন্দেহজনক কথা বলেছেন তিনি।মিথ্যা ও সন্দেহজনক কথাবার্তার প্রায় অর্ধেকই নির্বাচনি প্রচারের সমাবেশে এবং সদ্য বাতিল হওয়া টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্টে করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।এ ছাড়া গত ৬ জানুয়ারি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট গণনা ও বাইডেনের বিজয় প্রত্যয়নের দিন ওয়াশিংটনের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলে হামলায় উসকানি দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেদিন হোয়াইট হাউসের দক্ষিণ পার্কে বক্তৃতায় তিনি এমন উসকানি দেন।প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে এ পর্যন্ত ১০৭টি মিথ্যা অথবা সন্দেহজনক দাবি করেছেন ট্রাম্প।
প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় ট্রাম্পের ৩০ হাজার মিথ্যাচার, প্রায় অর্ধেকই শেষ বছরে!
0
Share.