ডেস্ক রিপোর্ট: মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী সোমবার ভোরের দিকে দেশটির ক্ষমতা দখল করে নেয়। এসময় তারা দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট এবং ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) পার্টির প্রধান অং সান সু চিসহ আরও শীর্ষ নেতাদের আটক করেছে সেনাবাহিনী।কয়েক বছর ধরে দেশটির বেসামরিক সরকার ক্ষমতায় থাকার পর হঠাৎ করে এই সামরিক অভ্যুত্থান বিশ্ব নেতৃত্বকে নাড়া দিয়েছে। তাই তারা তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছে।মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এটিকে দেশটির ‘গণতান্ত্রিক সংস্কারের ক্ষেত্রে গুরুতর আঘাত’ বলে মন্তব্য করেছেন। এসময় তিনি সব নেতাকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং সিঙ্গাপুরও। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী জরুরি অবস্থা জারি এবং আটক নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে দেশ তিনটি।যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন বলেছেন, ৮ নভেম্বরর গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচত সরকারি কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজের নেতাদের মুক্তি এবং বার্মার জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান জানাতে বার্মিজ সামরিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাই।মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে মিয়ানমারের সবশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জেন সাকি বলেন, সাম্প্রতিক নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন করতে বা মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক উত্তরণে বাধা দেয়ার যেকোনো প্রয়াসের বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্র এবং এই পদক্ষেপগুলো পরিবর্তন না করলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেরিস পেইন সেনাবাহিনীকে ‘আইনের শাসনকে সম্মান জানাতে, আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে বিরোধের সমাধান এবং অবিলম্বে সব বেসামরিক নেতা এবং আটককৃতদের মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।এদিকে সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সব পক্ষকে সংযম দেখাতে এবং একটি ইতিবাচক ও শান্তিপূর্ণ ফলাফলের জন্য কাজ করতে আহ্বান জানিয়েছে। উল্লেখ্য, নভেম্বরের ওই নির্বাচনে সু চির নেতৃত্বাধীন এনএলডি ভূমিধস জয় পায়। কিন্তু নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করে সেনাবাহিনী সমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি)।
মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের নিন্দা পশ্চিমা দেশগুলোর
0
Share.