বেহাল সরকারি হাঁস-মুরগির খামার

0

বাংলাদেশ থেকে রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি: খামার কর্তৃপক্ষের গাফলতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে নষ্ট হচ্ছে রাজবাড়ীর একমাত্র সরকারি হাঁস-মুরগি খামারের কোটি টাকার সম্পদ। চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বাড়ছে না উন্নতমানের কোনো হাঁস-মুরগি। যদিও খামার কর্তৃপক্ষ বলছে, জনবল ও মুরগির শেডের সংকট রয়েছে। রাজবাড়ী জেলা সদরের ভবানীপুরে ১৯৮২ সালে ৩ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় এই সরকারি হাঁস মুরগির খামারটি। প্রতিষ্ঠার সময় হাঁস পালনের জন্য খামারের অভ্যন্তরে খনন করা হয় একটি পুকুর এবং মুরগি পালনের জন্য নির্মাণ করা হয় ৩টি শেড। খামারটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে খামার কর্তৃপক্ষের গাফলতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে এ অঞ্চলের মানুষের হাঁস-মুরগির চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাঁস-মুরগি পালনে ব্যবহৃত সরকারি হাজার হাজার টাকার জিনিসপত্র এলোমেলোভাবে যেখানে সেখানে পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। হাঁস পালনের পুকুরটি ময়লা আবর্জনায় ক্রমেই ভরে আসছে। এ ছাড়াও মুরগি পালনের শেড ও বিল্ডিংয়ের জানালার দরজা ভেঙে নষ্ট হচ্ছে সরকারের কোটি টাকার সম্পদ।খামারের পোল্ট্রি টেকনিশিয়ান মো. ইকবাল হোসেন জানান, মুরগির ৩টি শেডের মধ্যে ২টি নষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমানে ৪ জন কর্মচারী দিয়ে খামারের দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে। জনবল বাড়ানো হলে খামারের এই সমস্যা থাকবে না।এলাকাবাসী বলছেন, হাঁস-মুরগির যথেষ্ট চাহিদা আছে। খামারে ডিম ফোটানোর কোনো মেশিন ও হ্যাচারি চালু না থাকায় মাঝেমধ্যে ফরিদপুর থেকে খামার কর্তৃপক্ষ একদিনের ফোটানো বাচ্চা নিয়ে এসে বিক্রি করেন।তাই তারা রাজবাড়ীর এই সরকারি হ্যাচারিটি চালু ও হাঁস-মুরগি আমদানি করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন।

Share.