ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতের কাশ্মিরে আবারও গ্রেনেড হামলা হয়েছে। বার্তা সংস্থা পিটিআই (প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া) জানিয়েছে, শ্রীনগরের কাশ্মির বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের ওই বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। উল্লেখ্য, কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা হরণ করার পর থেকে সেখানে গ্রেনেড হামলা বেড়েছে। ৫আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ও বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার। এরপর কারফিউ জারি করে সেখানে বিপুল পরিমাণে সেনা মোতায়েনের পাশাপাশি সীমিত করা হয় ইন্টারনেট ও টেলিফোন সেবা। রুদ্ধ করা হয় সংবাদমাধ্যমের প্রবেশাধিকার। আটক করা হয় শত শত নেতাকর্মীকে। এ ঘটনায় কাশ্মিরবাসীর দিক থেকে বিক্ষোভ-প্রতিরোধ শুরু হলেও আস্তে আস্তে তা থিতু হয়ে আসতে শুরু করে। তবে মাঝে মধ্যেই সেখানে গ্রেনেড হামলা চালানো হচ্ছে। পুলিশ দাবি করেছে, মঙ্গলবার দুপুরে কাশ্মির বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার সৈয়দ গেটের কাছে দাঁড়িয়েছিলেন বেশ কয়েকজন মানুষ। আর তখনই গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সোমবার জম্মু-কাশ্মির পুলিশ এক বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণ মানুষকে বিস্ফোরণপ্রবণ এলাকাগুলো এড়িয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছে। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই হামলা হলো। এর আগে গত ৬ অক্টোবর কাশ্মিরের অনন্তনাগে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এক গ্রেনেড হামলায় ১০ জন আহত হয়। ১২ অক্টোবর মধ্য শ্রীনগরের হরি সিং মহাসড়কে গ্রেনেড হামলায় আহত হয় ৫ জন । ১১ অক্টোবর শ্রীনগরে ভারতীয় আধা-সামরিক বাহিনী-সিআরপিএফ সদস্যদের লক্ষ্য করে চালানো হামলায় অন্তত ছয়জন আহত হয়। এর একদিন পর শ্রীনগরে গ্রেনেড হামলায় অন্তত ৫ জন আহত হয়। ২৮ অক্টোবর সোপোরের বাস স্টেশনে সংঘটিত হামলায় আহত হয় অন্তত ১৫ জন। ৪ নভেম্বর শ্রীনগরের এক সব্জি বাজারে সন্ত্রাসী হামলায় এক বেসামরিক ব্যক্তি নিহত ও ১৫ জন আহত হয়
কাশ্মির বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গ্রেনেড হামলা
0
Share.