ডেস্ক রিপোর্ট: জো বাইডেন যেদিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন, সেদিন সারাদিনই খবর দেখেছেন আরাফাত আল-দাইলাম। চোখ রেখেছেন সোশ্যাল মিডিয়াতেও। কেননা এদিন তার মতো আরও অনেকের ভাগ্য বদলানোর মতো পরিস্থিতি হয়েছে।সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তথাকথিত ‘মুসলিমদের ওপর নিষেধাজ্ঞার’ কারণে পাঁচ বছর ধরে স্ত্রী থেকে আলাদা থাকছেন আল-দাইলাম। তাই বাইডেনের নির্বাহী আদেশ সইয়ের দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়েছিলেন তিন সন্তানের জনক আল-দাইলাম।ট্রাম্প যখন বেশ কয়েকটি মুমলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সেই তালিকায় পড়ে ইয়েমেনও। ওই নিষেধাজ্ঞার ফলে আল-দাইলামের স্ত্রী ইয়েমেন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসতে পারছে না।ওই নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে বাইডেন একটি নির্বাহী আদেশ সই করার পর শুরুতে স্বস্তিই পেয়েছিলেন মার্কিন নাগরিক আল-দাইলাম। কিন্তু বাইডেনের ওই সিদ্ধান্তের পরও বাস্তবে তার পরিবারের পরিস্থিতি খুব একটা বদলায়নি।২০১৫ সালে তার স্ত্রীর ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন আল-দাইলাম। ওই আবেদন এখনও ‘প্রক্রিয়াধীন’ আছে। তাদের এক বছরের ছেলে সন্তানকে নিয়ে এখনও যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে বাস করছেন আল-দাইলামের স্ত্রী। আর তাদের ৫ ও ৩ বছরে দুই মেয়েকে দিয়ে মিশিগানের ডিয়ারবর্নে বাস করছেন আল-দাইলাম।তিনি বলেন, এই আদেশ বাতিল করার পরও কোনও কিছু বদলায়নি। এটা ভয়াবহ এক অনভূতি কেননা আমি আমার স্ত্রী এবং ছেলে আমি মিস করি। আর আমার মেয়েরা তাদের মা’কে মিস করে।উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ক্ষমতা গ্রহণের কিছুদিন পরই ট্রাম্পের এক নির্বাহী আদেশে সাতটি মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষিদ্ধ হয়ে যায়। এই দেশগুলো হলো- ইরান, ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, সুদান, ইয়েমেন ও সোমালিয়া।
ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা উঠেছে, তবে মুসলিমদের বিষয়ে কিছুই বদলায়নি
0
Share.