ঢাকা অফিস: গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ছবি নেওয়ার জন্য ডেকে নিয়ে ৭ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের ভিডিও ধারনের পর তাকে সেখানে ফেলে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা। শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করেন কালিয়াকৈর থানার পুলিশ। এরপর শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আসামিদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কালিয়াকৈর উপজেলার কাথাচুড়া এলাকার আ. সবুরের ছেলে শরিফ (২৮), পাশের রামচন্দ্রপুর এলাকার ইব্রাহিম খলিলের ছেলে রাশেদুল ইসলাম (২২) ও পাশের কড়ইতলী এলাকার আ. করিমের ছেলে রুবেল হাসান (২১)।পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বখাটে শরিফ ওই ছাত্রীকে মোবাইলে কল করে। সে তখন ওই স্কুলছাত্রীকে জানায় তার নিকট তার ছবি রয়েছে। ছবি নিতে পাশের গ্রাম সিরাজপুরে একটি নির্জন স্থানে তার কাছে না গেলে, সে এগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয়। পরে ইন্টারনেটে ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ে বাধ্য হয়েই ওই ছাত্রী তার কথা মতো ওই গ্রামে যাচ্ছিলো। যাওয়ার সময় ওই এলাকার ডিপেরচালা নামক স্থানে পৌঁছালে আগে থেকে উৎপেতে থাকা শরিফ, রাশেদুল ও রুবেল পরিকল্পিতভাবে তার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক তাকে পাশের কাঠ বাগানের ভেতর নিয়ে যায়। পরে তারা বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে।এ সময় তারা মোবাইল ফোনে রাশেদুল ও রুবেলের ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও ধারণ করে। এরপর ধর্ষকরা ছাত্রীকে সেখানেই ফেলে চলে যায়। পরে ওই ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানালে, তার বাবা আব্দুল কদ্দুছ বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযোগের ভিতিত্তে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।কালিয়াকৈর থানার পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা রাজীব চক্রবর্তী জানান, মোবাইল ফোনে ছবি ছেড়ে দিবে বলে স্কুলছাত্রীকে ডেকে নিয়ে গণর্ধষণ করে। বাবার অভিযোগে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে ওই তিন জনকে ধর্ষণ মামলা দিয়ে গাজীপুর জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পালাক্রমে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩
0
Share.