করোনার প্রভাবে সামনের বছরগুলোতে বাড়বে ক্যানসারে মৃত্যু: ডব্লিউএইচও

0

ডেস্ক রিপোর্ট: করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে ক্যানসার নির্ণয় ও চিকিৎসার ওপর ‘মারাত্মক’ প্রভাব ফেলেছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থাটি জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে স্তন ক্যানসার এখন নারীদের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে।ডব্লিউএইচওর নন-কমিউনিকেবল ডিসিজ ডিপার্টমেন্টের ডা. আন্ড্রে ইলবাউই মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) বলেছেন, নতুন করোনাভাইরাস সংকট শুরু হওয়ার পরের এক বছরেরও বেশি সময়ে ক্যানসারের যত্নের ওপর তীব্র প্রভাব পড়েছে। মহামারির কারণে বিশ্বের অর্ধেক দেশের সরকারের ক্যানসার সেবা আংশিক বা পুরোপুরি বিঘ্নিত হয়েছে।ইউএন নিউজের বরাতে তিনি বলেন, ক্যানসার নির্ণয়ে দেরি হওয়া এখন স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হয়েছে। থেরাপিতে বাধা বা বাতিল হওয়া উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে এবং এর কারণে আগামী বছরগুলোতে ক্যানসারে আক্রান্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যায় প্রভাব পড়বে।ডা. আন্ড্রে ইলবাউই বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা নিয়োজিতদের সেবা দিতে গিয়ে প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রয়েছেন এবং গবেষণা ও ক্লিনিকাল ট্রায়াল এনরোলমেন্ট উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। সহজভাবে বলতে গেলে ক্যানসার নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টায় করোনা মহামারি মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।’ক্যানসার রোগীদের জন্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কোনটা সবচেয়ে বেশি কার্যকর হতে পারে এর তথ্য না থাকায় বেশি অসুস্থরা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন জানিয়ে ডা. ইলবাউই বলেন, ‘ভ্যাকসিনের চলমান ক্লিনিকাল ট্রায়ালের ফল এখনও প্রকাশ করা হয়নি।’তিনি বলেন, আমরা কৃতজ্ঞ যে এই ক্লিনিকাল ট্রায়ালগুলোতে ক্যানসার রোগীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যদিও ক্যানসার রোগীরা তাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকার কারণে কোভিড-সম্পর্কিত অসুস্থতা এবং মৃত্যুর বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন।ডব্লিউএইচওর মতে, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ওপর ক্যানসারের অর্থনৈতিক চাপ বিশাল এবং ক্রমাগত বাড়ছে। ২০১০ সালে এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ১.১৬ ট্রিলিয়ন ডলার।ডা. ইলবাউই বলেন, ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী ক্যানসারে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা এক কোটি ৯৩ লাখে পৌঁছেছে। ক্যানসারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এক কোটিতে পৌঁছেছে।সংস্থাটির মতে, ২০২০ সালে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা ছিল ২৩ লাখ, যা ক্যানসারে আক্রান্তদের প্রায় ১২ শতাংশ। ক্যানসারে বিশ্বের নারীদের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ এটি।

Share.