ঢাকা অফিস: বিভিন্ন সময়ে ডিজিটাল জালিয়াতি ও অবৈধপন্থা অবলম্বন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ভর্তি হওয়া সাত শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে দুজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে সাময়িক বহিষ্কার করে কেন তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, তা জানতে নির্দিষ্ট সময়ে জবাবদিহি দিতে বলা হয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে শৃঙ্খলা পরিষদের এক নিয়মিত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন শৃঙ্খলা পরিষদের সদস্য সচিব ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সভায় সভাপতিত্ব করেন।এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর অধিভুক্ত কলেজের ১৪৭ জন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করার সুপারিশও করা হয়েছে।অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ডিজিটাল জালিয়াতি ও অবৈধপন্থা অবলম্বন করে ভর্তি হওয়া সাতজনকে স্থায়ী বহিষ্কার করার সুপারিশ করা হয়েছে এবং আরও দুজনকে সাময়িক বহিষ্কার করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সংখ্যা দাঁড়াল ৮৫ জনে।প্রক্টর আরও জানান, পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত কলেজের ১৪৭ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।প্রক্টর বলেন, পরীক্ষার খাতায় অসঙ্গতিপূর্ণ নম্বর দেওয়ার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. এএসএম আতিকুর রহমান, অধ্যাপক ড. গোলাম আজম ও সহকারী অধ্যাপক মাইনউদ্দীন মোল্লাকে তিন বছর পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
ডিজিটাল জালিয়াতিতে ভর্তি, ঢাবির ৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সুপারিশ
0
Share.