ডেস্ক রিপোর্ট: সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় চীনের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক ছিল সাপে-নেউলের মতো। নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে চীনের উষ্ণ সম্পর্ক দেখা যাবে বলে অনেকেই আশা করেছিলেন। কিন্তু সেই আশায় গুড়েবালি দিয়ে উত্তরসূরি ট্রাম্পের মতো বাইডেনও বেইজিংকে কড়া বার্তা দিয়েছেন।ক্ষমতায় বসে প্রথমবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর এই প্রথম সরাসরি চীনা প্রেসিডেন্টের ফোনালাপ করলেন বাইডেন। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, দুই নেতার মধ্যে ইন্দো-প্যাসিফিক, তাইওয়ান, মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ একাধিক বিষয়ে কথা হয়।ট্রাম্প সরাসরি চীনের সঙ্গে সংঘাতে নেমেছিলেন। শুল্কারোপ থেকে শুরু করে তাইওয়ানকে অত্যাধুনিক মিসাইল দিতে সম্মত হয়েছিল ওয়াশিংটন। কিন্তু বাইডেনের উত্থানে চীনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কিছুটা নরম হবে বলেই মনে করেছিলেন অনেকে। তবে সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন বাইডেন।বৃহস্পতিবার ফোনালাপের জিনপিংকে চীনা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন বাইডেন। অর্থনীতিকে হাতিয়ার করে বেইজিংয়ের অনভিপ্রেত কর্মকাণ্ড ও জিনজিয়াং প্রদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এমনকি উভয় নেতার মধ্যকার আলোচনায় ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে শুরু করে হংকং ও তাইওয়ান সংক্রান্ত প্রসঙ্গও উঠে আসে।
চীনকে কড়া বার্তা দিলেন বাইডেন
0
Share.