বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালন

0

ঢাকা অফিস: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি)’র ২১তম প্রতিষ্ঠা দিবস বুধবার আনন্দ উৎসব ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এ দিনটিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সালনাস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসটি আনন্দমুখর মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল। এতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে গাজীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ উপস্থিত ছিলেন। বুধবার বাংলাদেশ সময় সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন চত্বরের সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচির সূচনা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবন চত্বর থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। পরে বিশ^বিদ্যালয়ের বেগম সুফিয়া কামাল অডিটরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি, সার্বিক উন্নয়ন, শিক্ষাকার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার একটি সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। সভায় গাজীপুর জেলা প্রশাসক এস. এম. তরিকুল ইসলাম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ইউজিসি প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল মান্নান আকন্দ বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভায় পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. মোঃ খোরশেদ আলম ভূঞা স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ, ডিনবৃন্দ, রেজিস্ট্রার, পরিচালকবৃন্দ, প্রক্টর, প্রভোস্টসহ অন্যান্য শিক্ষক-ছাত্রছাত্রী, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় ২০২০ সালে ঘোষিত মুজিব বর্ষ যথাযথ ও আড়ম্বরপূর্ণভাবে পালনের জন্য ইউনেস্কোসহ সকলের প্রতি উদাত্ত্ব আহবান জানান। এসময় তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে আগামী প্রজন্মকে নেতৃত্ব গ্রহণে এগিয়ে আসতে অনুরোধ করেন। ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াস উদ্দীন মিয়া তাঁর সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতি ও উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সকলের অব্যহত সহযোগীতা কামনা করেন। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ফানুস উড়ানোর মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শেষ হয়।

Share.