বাংলাদেশ থেকে নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নিষিদ্ধ ট্রাক্টরের দখলে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার সকল রাস্তা-ঘাট। গ্রামীন ও আঞ্চলিকসহ শহরের প্রধান সড়কে যানটি দিনের বেলাতেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে । এতে ছড়াচ্ছে ধূলা-বালি ও রোগ জীবানু ঘটছে শব্দ দূষণ। এছাড়া যন্ত্রদানব এ যানটির বেপরোয়া চলাচলে একদিকে যেমন নস্ট হচ্ছে কাঁচা পাকা রাস্তা অন্যদিকে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। অবৈধ এ যানের প্রতি নজর নেই প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শুধুমাত্র চাষাবাদের জন্য আমদানি করা হয় ট্রাক্টর কিন্তু এখন অবৈধভাবে পণ্য পরিবহন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পৌরসভাসহ উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নের পাড়া মহল্লার ও গ্রামীণ রাস্তা সহ উপজেলার প্রত্যেক সংযুক্ত সড়ক গুলোতেই দিনরাত চষে বেড়াচ্ছে অর্ধ শতাধিক অবৈধ ট্রাক্টর। এসব ট্রাক্টরের নেই কোন বৈধ রোড পার্মিট। তাছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজন না হওয়ায় ১৫ থেকে ২০ বছরের শিশু-কিশোররাও এসব ট্রাক্টর অবাধে চালাবার সুযোগ পাচ্ছে। যার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। স্থানীয়রা জানান, সরকারের কোটি কোটি টাকার রাস্তাঘাট ধ্বংস করছেন গুটি কয়েক ইটভাটার মালিক। সরেজমিনে দেখা যায়, বিকট শব্দে সাদা পাউডারের মত ধুলো উড়িয়ে ট্রাক্টরগুলো চলছে কৃষি জমির উর্বর টপসয়েল কেটে ইটভাটায় সরবরাহ এবং পুকুর-দীঘি নালা ভরাট কাজে। আবার ইট, পাথর বালু নিয়ে নির্মানাধীন বহুতল মালিক কিংবা পন্য নিয়ে শহরের কোন ব্যবসায়ীর কাছে ছুটছে। আবার কেউ কেউ ছুটছে বাসা-বাড়ীর ফার্নিচার বা গাছের গুড়ি নিয়ে। ট্রাক্টরের চলাচল গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। পথচারী বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের গ্রামের আজগর আলী জানান, এ গাড়ি চলাচলের সময় আশপাশ এলাকায় কুয়াশার মতো ট্রাক্টরের সৃষ্ট ধূলোয় অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে থাকে। আর ধূলোর মধ্যে দিয়েই ছোট ছেলে মেয়ে নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। শহরের নয়াটলা এলাকায় বসবাসকারী স্কুল শিক্ষক মিনা পারভীন বলেন, আমার বাড়ির পাশ দিয়ে বিকট শব্দ করে দিন রাত ট্রাক্টরগুলো চলাচল করায় ছোট ছেলে মেয়ে দুটি ঠিকভাবে ঘুমাতে পারে না। জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আলেমুল বাশার জানান, ট্রাক্টরের ধূলোয় সর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্ট রোগ আক্রান্ত হতে পারে এলাকার শিশুসহ সব বয়সের মানুষেরা। এছাড়া শব্দ দূষণের কারনে অনেকে বধির হয়ে যেতে পারে। যানটির সৃস্ট শব্দ দূষনে এ বিষয় সৈয়দপুর থানার ট্রাফিক সার্জেন্ট নাহিদ পারভেজ সম্রাট জানান, দিনের বেলায় শহরে ট্রলি বা ট্রাক্টরের প্রবেশের সুযোগ নেই। যদি কখনো প্রবেশ করে সাথে সাথে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসিম আহমেদ জানান, খুব দ্রুত এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ গ্রহণ করা হবে।
নিষিদ্ধ ট্রাক্টরের দখলে সৈয়দপুরের সব রাস্তা-ঘাট
0
Share.