বাংলাদেশ থেকে বিশেষ প্রতিনিধি: সিলেটে সৎ মা ও ভাই-বোনকে কুপিয়ে হত্যার পর ঘাতক তরুণ ওই মরদেহগুলো পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এরপর তিনি নিজে আত্মহত্যার চেষ্টাকালে আহবাব হোসেন নামের ওই যুবককে ছোরাসহ আটক করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে সিলেট মহানগরের শাহপরান থানাধীন খাদিমপাড়া এলাকার মীর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। স্ত্রী আর দুই সন্তানকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ ব্যবসায়ী আবদাল হোসেন খান বুলবুল। তার প্রথমপক্ষের ছেলে আহবাব হোসেন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে স্ত্রী রুবিনা বেগম, ৯ বছরের মেয়ে মাহা ও ৭ বছরের ছেলে তাহসানকে।শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আনিসুর রহমান জানান, নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আহবাব জানিয়েছেন, তার নিজের মা বিয়ানীবাজারে থাকে। তার বাবা সৎমাকে নিয়ে শাহপরান এলাকায় থাকে। কয়েক মাস আগে দোকান দেখাশোনার জন্য তার বাবা তাকে এখানে আনেন। কিন্তু বিষয়টি তার সৎমা পছন্দ করেনি। কয়েক দিন ধরে সৎমায়ের আচরণে ক্ষিপ্ত হয়েই তিনি তাদের ওপর হামলা চালান। একসময় দুবাই কাজ করতেন বুলবুল। তার প্রথম স্ত্রী, এক মেয়ে ও ঘাতক পুত্র আহবাব হোসেন সিলেটের বিয়ানীবাজারে থাকতেন। দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে সিলেটে থাকতেন বুলবুল। ৪/৫ মাস আগে আহবাব সিলেটে আসেন।
সৎমা-ভাইবোনদের হত্যার পর লাশ পোড়ানোর চেষ্টা করেন আহবাব
0
Share.