ঢাকা অফিস: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ, দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ১১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৭ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও বাকিদের বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। কাউন্সিলর প্রার্থী আশরাফুল আলম ও ফজলুর মিয়ার সমর্থদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জগন্নাথপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কাউন্সিলর প্রার্থী আশরাফুল আলমকে আটক করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।এলাকাবাসী জানায়, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথপুর বেনী বাজার মোড়ে নির্বাচনী প্রচারণা যায় কাউন্সিল প্রার্থী ফজলু মিয়ার লোকজন। এ সময় কাউন্সিলর আশরাফুল আলমের সমর্থকরা ফজলুর ভাগিনা পিন্টুকে মারধর করে। এ ঘটনার জেরে রোববার সকাল ১১ টায় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে চলাকালে এক পক্ষ অপর পক্ষের ওপর ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় নিক্ষিপ্ত ইটের আঘাতে ২৫ জন আহত হয়। পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে গেলে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছোড়ে তারা। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেন। এবং কাউন্সিলর প্রার্থী আশরাফুল আলমকে আটক করে।ভৈরব সার্কেলের এএসপি রেজোয়ান দিপু জানান, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকের মাঝে থেমে থেমে সংঘর্ষে চলে আসছে। রোববার সকাল ১২টা থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করি। কিন্তু কোনো পক্ষকেই থামাতে না পেরে আমাদের ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়। সংঘর্ষে একটি কারখানা, দোকান ও নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এলাকায় যে কোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা সচেষ্ট আছি।
ভৈরবে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ-গুলি, আহত ১৫
0
Share.