বাংলাদেশ থেকে কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের ডাংরারহাট বেগম নুরজাহান শিশু সদন(এতিমখানা) ভুয়া এতিমের নামের তালিকা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তলন করে আত্মসাত করে আসছে কর্তৃপক্ষ। যার রেজিষ্ট্রেশন নং কুড়ি/রাজা/২৮১/৯৬ইং প্রতিষ্ঠাতা মোস্তাফিজুর রহমান। এতিমখানা টি ১৯৯৬ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।বছরের পর বছর এতিমখানা কর্তৃপক্ষ এতিমদের ভুয়া নাম ঠিকানা সমাজ সেবা অধিদপ্তরে পাঠিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। সর্বশেষ ২০১৮- ১৯অর্থ বছরে সমাজ সেবা অধিদপ্তর কর্তৃক এতিম শিশুদের জন্য ক্যাপিটেশন গ্রান্ট ২য় কিস্তির জানুয়ারী১৯ – জুন১৯ইং ১৩জন এতিম শিশুর নামের বরাদ্দকৃত ৭৮,০০০/টাকা উত্তলন করেন। কিন্তু সরেজমিনে(এতিমখানায়) গিয়ে দেখা যায় মাত্র ৩জন এতিম শিশু বেগম নুরজাহান শিশু সদনে রয়েছে ও ২/৩ জন ছুটিতে আছে বলে জানান অন্যান্য শিক্ষার্থীরা। বাকী এতিমের তথ্য জানতে চাইলে বেগম নুরজাহান শিশু সদনের দায়িত্বরত হাফেজ মাওলানা আবুল খায়ের সাংবাদিকদের সদুত্তর দিতে পারেননি। অথচ সরকারী অর্থ এতিমদের ভরনপোষণের জন্য দেওয়া হলেও সেই অর্থ আত্মসাৎ করছেন প্রতিষ্ঠাতা মোস্তাফিজুর রহমান ও সভাপতি কামরুজ্জামান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এতিমখানা পরিচালনা পর্ষদের একজন সদস্য বলেন সরকারী অর্থ দিয়ে কিছু জমি ক্রয় করা হয়েছে, তবে সেটা প্রতিষ্ঠাতার একক নামে জমির দলিল করা হয়। এবিষয়ে এতিমখানার সভাপতি কামরুজ্জামানের সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে বসে আলোচনার কথা বলেন, আলোচনার এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের প্রলোভন দেখিয়ে সংবাদ প্রচার না করতে অনুরোধ করেন। সাংবাদিকরা তার এই অনৈতিক প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এতিমখানার অনিয়মের সংবাদ প্রকাশে অনড় থাকেন। এবিষয়ে রাজারহাট সমাজ সেবা অফিসার মশিউর রহমান বলেন ক্যাপিটেশন গ্রান্ট প্রাপ্ত ১৩জনের নামের তালিকা আমার কাছে আছে।
রাজারহাটে এতিমের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
0
Share.