ঢাকা অফিস: আগামী ৩০ মার্চ দেশের সব স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, পুরো বছরের সিলেবাস ৮ বা ৯ মাসে শেষ করা যাবে না। তাই সব ক্লাসের সিলেবাস পরিমার্জন করা হবে। এজন্য এনসিটিবির একটি কমিটি কাজ করছে। পরিমার্জিত যে সিলেবাস প্রকাশ হবে তার ওপর ভিত্তি করেই পরীক্ষার প্রশ্ন হবে।মন্ত্রীর নির্দেশনার পর এনসিটিবি সব শ্রেণির সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করেছে।এনসিটিবির ঊর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজ আলী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ২০২১ শিক্ষাবর্ষ ৮ বা ৯ মাস হবে এমনটি ধরেই ফেব্রুয়ারি মাসে আমরা কাজ শুরু করেছি। সেজন্য চলতি শিক্ষাবর্ষের সিলেবাস ছোট করা হয়েছে। এপ্রিলে স্কুল খুললেও সেভাবেই সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে। অনুমোদন হওয়ার পর এটা প্রকাশ করা হবে। জানা গেছে, এনসিটিবি প্রণীত এ সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত কোনো তারিখ রাখা হয়নি। কত কর্ম দিবসে ক্লাস শেষ করা যাবে, সেভাবে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে।কত শতাংশ সিলেবাস কমেছে তা স্পষ্ট না করলেও এনসিটিবির কর্মকর্তারা বলছেন, বিষয়ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে। যেমন- সপ্তাহে বাংলা ক্লাস থাকে পাঁচ দিন। আবার গণিত ক্লাস থাকে তিন দিন। এভাবে সব মিলিয়ে ১৫০ কর্ম দিবসের সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে।এর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রী বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আগে শিক্ষক কর্মচারীদের টিকা দেয়ার কাজ শেষ করা হবে। পুরো রোজায় ক্লাস বন্ধ রাখার পরিকল্পনা নেই। শুধু ঈদের সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। মন্ত্রী আরও বলেন, ক্লাস ফাইভে সপ্তাহে ৫ দিন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সপ্তাহে ৬ দিন এবং বাকিদের ক্ষেত্রে সপ্তাহে ১ দিন করে ক্লাস হবে। এর আগে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি অনলাইনে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার তারিখ ঘোষণা করেন। এদিন তিনি বলেন, দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ২৪ মে থেকে শুরু হবে এবং হল খুলবে ১৭ মে। এর আগে সব ধরনের পাঠদান ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। ১৭ মে এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের করোনা টিকা দেওয়া হবে। এছাড়া বিসিএস পরীক্ষার আবেদন ও পরীক্ষার তারিখ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নির্ধারণ করা হবে। গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক ধাপে বাড়ানোর পর ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়। গত ২২ জানুয়ারি করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে গাইডলাইন প্রকাশ করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। এ গাইডলাইন অনুসরণ করে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়। স্কুল-কলেজগুলোতে ৩৯ পাতার গাইডলাইন পাঠিয়ে বলা হয়, ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্কুলগুলো প্রস্তুত করে রাখতে, যাতে যে কোনো মুহূর্তে সেগুলো খুলে দেয়া যেতে পারে।উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে গোটা বিশ্বকে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের এই প্রতিকূল স্রোতের মুখোমুখি বাংলাদেশও। অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মতো বাংলাদেশের জন্য আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে শিক্ষা খাত। প্রায় ১২ মাস ধরে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। কিছু ক্ষেত্রে অনলাইনে কার্যক্রম চলমান।
স্কুলের ১৫০ দিনের সিলেবাস আসছে
0
Share.