ডেস্ক রিপোর্ট: ক্ষমতায় আকড়ে থাকার তীব্র বাসনা পেয়ে বসেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। আর তাই ক্রমেই রক্তপিপাসু হয়ে উঠছে তারা। এক মাসের বেশি সময় ধরে দেশটিতে চলমান অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভে কঠোর থেকে কঠোরতর অবস্থানে যাচ্ছে জান্তা সরকার।গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে এবং দেশটির নেত্রী অং সান সু চি’র মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভকারীরাও কোনও ছাড় দিতে নারাজ। আর বিক্ষোভকারীরা যেমন রাজপথ দখলে নিতে চাইছে, জান্তা সরকারও গদিতে স্থায়ী হতে চাইছে।গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থান ঘটিয়ে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এসময় ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী অং সান সু চিসহ দলটির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়।এরপরই অভ্যুত্থান বিক্ষোভে ফেটে পড়ে মিয়ানমারের মানুষ। প্রথম দিকে শান্তিপূর্ণ থাকলেও গত কিছুদিন ধরে বেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে মিয়ানমার। দেশটির একটি মানবাধিকার সংগঠন সোমবার পর্যন্ত ৩০ জন নিহত হয়েছিল বলে জানিয়েছিল।বুধবারও বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি ছুঁড়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। এতে নিহত হয়েছে ৯ জন। মৃত্যুর মিছিল বাড়তে থাকলেও জান্তা সরকারের নমনীয় হওয়ার তেমন কোনও লক্ষ্য দেখা যাচ্ছে না। এদিকে বুধবার বার্তা সংস্থা এপি’র একজন ফটোগ্রাফারসহ ছয়জন সাংবাদিককে আটক করেছে মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।এর আগে মঙ্গলবার আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক ভার্চুয়াল মিটিংয়ে মিলিত হন। তবে ওই বৈঠকটি তেমন ফলপ্রসূ হয়নি। তবে আসিয়ান দেশগুলোর মন্ত্রীরা সু চিকে মুক্তি দিতে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ক্রমেই রক্তপিপাসু হয়ে উঠছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী
0
Share.